You must need to login..!
Description
বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃ দেশে সর্বজনীন পেনশন চালু হচ্ছে বলে জানালেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ যে কৌশলপত্র তৈরি করেছে, এর একটি সারসংক্ষেপ বুধবার সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেছেন তিনি। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তন হলো জাতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি উপহার।’
সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার ওপর তৈরি করা কৌশলপত্র গত বৃহস্পতিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপস্থাপন করেছে অর্থ বিভাগ। প্রধানমন্ত্রী ওই দিনই এ ব্যাপারে আইন প্রণয়ন করতে অর্থ বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
কত টাকা চাঁদা দিলে মাসে কত টাকা পেনশন পাওয়া যাবে, এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট হিসাব দেননি অর্থমন্ত্রী। প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী একটি উদাহরণ দেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ধরুন, মাসিক চাঁদা ১ হাজার টাকা, মুনাফা ১০ শতাংশ ও আনুতোষিক ৮ শতাংশ।
তাহলে ১৮ বছর বয়সে যদি কেউ চাঁদা দেওয়া শুরু করেন এবং ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত তা চালু থাকে, তাহলে ওই ব্যক্তি অবসরের পর ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি মাসে ৬৪ হাজার ৭৭৬ টাকা পেনশন পাবেন।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কেউ যদি ৩০ বছর বয়সে চাঁদা দেওয়া শুরু করেন এবং ৬০ বছর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে, তাহলে অবসরের পর প্রতি মাসে তিনি ১৮ হাজার ৯০৮ টাকা করে পেনশন পাবেন। চাঁদার পরিমাণ এক হাজার টাকার বেশি হলে আনুপাতিক হারে পেনশনের পরিমাণও বেশি হবে। তবে এ হিসাব একটি আনুমানিক হিসাব। প্রকৃত অবস্থা আইন ও বিধি প্রণয়ন এবং পেনশন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার পর জানা যাবে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন বাংলাদেশের অনেক অর্জন। সেই অর্জনের সঙ্গে আজ যুক্ত হলো আরও একটি অর্জন। সেটা হলো সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা। এই পেনশন ব্যবস্থা সবার জন্য। পেনশন ব্যবস্থাটি আমাদের সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদে বলা আছে, বার্ধক্যজনিত কারণে যারা অভাবগ্রস্ত হবে। এই অভাবগ্রস্তদের জন্য সাহায্যের প্রয়োজন হবে। এই সাহায্য লাভের অধিকার রাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার। বার্ধক্যজনিত কারণে যেসব অভাব আসতে পারে বা আসে জীবনে, সেসব অভাবগ্রস্ত নাগরিকরা পেনশন পাবেন।
তিনি বলেন, সরকার ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বয়স্কদের টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় মৃত্যুকালিন সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে দেশে সর্বজনিন পেনশন ব্যবস্থার প্রবর্তন করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৯- ২০ অর্থবছরে বাজেটে আনা হয়েছিল যে এটা আমরা বাস্তবায়ন করবো। তার ধারাবাহিকতায় আমরা এখন এটা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। এটা বাস্তবায়ন হলে দেশের প্রত্যেকটি মানুষ লাভবান হবে।