গফরগাঁওয়ে স্বামীর ভিটাতে বৃদ্ধাকে ঠাঁই দিচ্ছে না একমাত্র ছেলে

image

You must need to login..!

Description

গফরগাঁও উপজেলা সংবাদদাতা ঃ বিএমটিভি নিউজঃ ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই পরিত্যক্ত একটি রান্না ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করছে শমেলা খাতুন(৮১)বিধবা এক নারী।অভাগী মায়ের ঠাঁই হয়নি একমাত্র ছেলে সন্তানের কাছে।মেয়েরা মায়ের জন্য ঘর নির্মান করতে গেলে পাষন্ড ছেলের বাঁধার মুখে ঘর করতে পারেনি ।
জানা গেছে ,উপজেলার বারবাড়িয়া ইউনিয়নের চাইরপাড়া গ্রামের শমেলা খাতুন(৮১)।ষোল বছর আগে স্বামী আঃ জব্বারকে হারিয়ে বিধবা হন শমেলা খাতুন।এক ছেলে ও চার মেয়ের জননী। এক ছেলে আবুল হাশেম(৪৫) পেশায় একজন কবিরাজ। চার মেয়ে হাজেরা খাতুন(৬০),ফিরোজা খাতুন(৫৫),রমিজা খাতুন(৪০) ও মফিজা খাতুন(৩৫)।চার মেয়ের বিয়ে পর স্বামী সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকে ।শমলা খাতুনের স্বামীর মৃত্যুর পর তার একমাত্র ছেলে আবুল হাশেম জমি জমা লিখে দিতে চাপ প্রয়োগ করে।জমি নিয়ে মা ও ছেলের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়।এক পর্যায়ে শমলা খাতুনকে ঘর থেকে বের করে দেয়।বাধ্য হয়ে পাশের রান্না ঘরে অবস্থান নেয়।পাষন্ড ছেলে মাকে ঘর থেকে তাড়িয়ে ক্ষান্ত থাকেনি।তার মা যে রান্না ঘরে অবস্থান নিয়েছে সেই ঘরের টিনের চালও খুলে নেয়।রোদ,ঝড় আর বৃষ্টি মাথায় করে ভাঙ্গা রান্না ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করতে থাকে। মেয়েরা মায়ের কষ্ট দূর করতে সিমেন্টের পিলার,কাঠ,টিন ও বাঁশ দিয়ে মায়ের দুচালা ঘর করে দিতে গেলে বাঁধা দেয় পাষন্ড ছেলে।স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান একাধিকবার নোটিশ পাঠিয়েও কোন সুরাহা করতে পারেনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মুখলেছুর রহমান বলেন, বৃদ্ধা মাকে কিভাবে তার সন্তান এভাবে খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখে চোখে না দেখলে বিশ^াস হতো না।আমি গত কিছুদিন আগে এবিষয়টি দেখে অবাক হয়েছি।এরপর থেকে আমি তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাইনি।আমি চেষ্টা করছি তার সাথে যোগাযোগ করতে।
এ বিষয়ে বৃদ্ধার ছেলে আবুল হাশেম বলেন,মায়ের অভিশাপ আমার লাগে না।আমি জিবীত থাকতে ঘর করতে দিবো না।
দীর্ঘ শ^াস ফেলে শমেলা খাতুন বলেন,ষোল বছর হয়েছে আমার স্বামী মারা যায়।এরপর ছেলে আমাকে ঘর থেকে বের করে দেয়।আমি পরিত্যাক্ত রান্না ঘরে আছি।আমি আমার স্বামীর ভিটাতে জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত থাকতে চাই।আমি মেয়েদের সহায়তায় ঘর তৈরি করতে গেলে আমার ছেলে বাঁধা দেয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবিদুর রহমান বলেন,বিষয়টি খোজ নিতে স্থানীয় ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার কে দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।