You must need to login..!
Description
মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
মুক্তাগাছায় রাতের আধারে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা অস্ত্রেরমুখে নিয়ে গেছে ২০ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ১৬ টি ষাঁড়। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দিবাগত রাত্রি ২টা থেকে ৩ টার মধ্যে। উপজেলার ডৌওয়াখোলা এলাকার আরব এগ্রো ফার্ম থেকে ১৫/২০ জনের সঙ্ঘবদ্ধ ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে দেশী-বিদেশী ১৬ টি ষাঁড় গরু দুটি ট্রাক ভর্তি করে নিয়ে গেছে। ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফার্মের প্রধান গেইটের পাহাড়াদার আঃ রশিদকে আটক করে। পরে ব্যপক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শাহজাহান কবির, মুক্তাগাছা থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস ও ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
পুলিশ ও ফার্মের কর্মচারীরা জানায়, শনিবার দিবাগত রাত্রি আনুমানিক ২টার দিকে কুমারগাতা ইউনিয়নের ডৌওয়া খোলাস্থ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরব আলীর মালিকানাধীন আরব এগ্রো ফার্মের কাটা তারের বেড়া কেটে ডাকাতদল ভিতরে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে ডাকাতরা ফার্মের প্রধান গেইটের ঐ রাতের দায়িত্ব পালনরত পাহাড়াদার আঃ রশিদকে ৩ ডাকাত দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে প্রধান গেইটের চাবি নিয়ে নেয়। পরবর্তীতে গেইট খুলে অন্যান্য ডাকাতরা ভিতরে প্রবেশ করে। পাশের ঘরে এগ্রো ফার্মের নিয়মিত কর্মচারী শরীফুল কিছু বুঝে উঠার আগেই ৩ ডাকাত তার গলায় ছুরি ধরে জিম্মী করে অন্যন্য ডাকাতরা গোয়াল ঘরে প্রবেশ করে দড়ি কেটে দেশী-বিদেশী ১৬ টি ষাঁড় গরু ২টি ট্রাকে তুলে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। প্রায় ঘন্টা ব্যাপি ডাকাতির পর তারা নির্বিঘেœ চলে যায়। ডাকাতরা চলে যাওয়ার পর ফার্মের ম্যানেজার হুমায়ুন কবির রাত সোয়া ৩ টার দিকে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরব আলীকে বিষয়টি মোবাইলে জানান।
আরব আলী বলেন, ঘটনাটি জেনে তিনি তাৎক্ষণিক মুক্তাগাছা থানার ওসির মোবাইলে যোগাযোগ করে তাকে না পেয়ে ওসি তদন্তকে বিষয়টি জানায়। ঘন্টাখানেক পর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তাৎক্ষণিক পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহন করলে গরুগুলো উদ্ধার করা যেতো বলে তিনি দাবী করেন।
মুক্তাগাছা থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ ব্যপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। আশাকরি স্বল্প সময়ের মধ্যেই গরুগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
রোববার দুপুর সাড়ে ৩ টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শাহজাহান কবির ও ওসি ডিবি পুলিশ শাহ কামাল আকন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। তার আগেই মুক্তাগাছা থানা পুলিশ ধটনাস্থলে অবস্থান করছিল। তারা ফার্মের কর্মচারী ও এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলেন।
এদিকে এলাকাবাসী জানায়, গত ১ মাসে ঐ এলাকা থেকে আরও ১৫ টি গরু চুরির ঘটনা সংঘঠিত হয়েছে । আরব এগ্রো ফার্মের সামনে রোববার কয়েকজন এলাকাবাসী জানায়, মালতীপুর গ্রামের ইসলামের ১ টি,সাইদুলের ৩ টি, লিটন মিয়ার ২ টিসহ পাথালিয়া গ্রামের রায়হানের ৫ টি গরু রাতের আঁধারে চোরেরা চুরি করে নিয়ে গেছে। সিদ্দিক নামের এক ব্যক্তি একটি গাভী লালন পালন ও দুধ বিক্রি করে সংসার পরিচালনা করে আসছিল। তার সেই গাভীটি চুরি হয়ে যাওয়ায় এখন তিনি ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন বলেও তারা জানান।