You must need to login..!
Description
বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃ প্রথম ম্যাচের বাংলাদেশ টিমের ক্রিকেট টিমের পারপম্যান্স দেখে যে কোন ক্রিকেট প্রেমী ধরে নিয়েছিল আজকের ম্যাচটি হবে বাংলাদেশের জন্য সিরিজ জয়ের ম্যাচ । ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে জিতে আজ রোববার দ্বিতীয় ম্যাচে সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছিল সফরকারীরা। তবে আত্মবিশ্বাসী দলটাকে টেনে মাটিতে নামাল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের কাছে ৭ উইকেটের বিশাল হারে সিরিজ জয়ের অপেক্ষা বাড়ল টাইগারদের।
পিংক ডে ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ দলের ইনিংসের শুরুটা সুখকর হয়নি। ৩৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে পথ হারায় সফরকারীরা। পরে আফিফ হোসেনের অর্ধশতক হাঁকানো ১০৭ বলে ৭২ রানের ইনিংসের সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজের ৩৮ রানের কল্যাণে ১৯৪ রানের পুঁজি পায় অধিনায়ক তামিম ইকবালের দল। ১৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দাপুটে শুরু পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনার কুইন্টন ডি ককের ঝড়ো অর্ধশতকে সঙ্গে কাইল ভেরেইনার ফিফটিতে ৭ উইকেট এবং ৭৬ বল হাতে রাখে বিশাল জয় তুলে নিয়েছে প্রোটিয়ারা।
এই জয়ের কল্যাণে আইসিসি সুপার লিগের গুরুত্বপূর্ণ ১০ পয়ন্ট অর্জন করলো দক্ষিণ আফ্রিকা। সঙ্গে বাংলাদেশকে অপেক্ষায় রেখে সিরিজে ১-১ এ সমতা ফেরাল টেম্বা বাভুমার দল। ফলে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি অলিখিত ফাইনালে রূপ নিলো। যে ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী ২৩ মার্চ।
অসুস্থতার কারণে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ছিলেন না ডি কক। ফিরেই ব্যাট হাতে ধ্বংসলীলা চালালেন তিনি। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি যেন বেছে নিলেন নিজেকে ঝালিয়ে নেওয়ার মঞ্চ হিসেবে। পেস কিংবা স্পিন- কোনো আক্রমণেই দমানো যাচ্ছিল না এই ওপেনারকে। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ২৬ বলে ক্যারিয়ারের ২৮তম ফিফটি পূরণ করেন তিনি। আরেক ওপেনার মালানকে এক পাশে দর্শক বানিয়ে রেখে ছোটেন সেঞ্চুরির পথে।
অবশেষে ইনিংসের ১৩তম ওভারে ব্রেক থ্রু এনেন দেন স্পিনার মিরাজ। দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন ইয়ানেমান মালানকে। অফে শাফল করে প্যাডেল সুইপ করতে চেয়েছিলেন ডানহাতি ওপেনার। বলের লাইনে যেতে পারেননি। হয়ে যান বোল্ড। ভাঙে ৭৫ বল স্থায়ী ৮৬ রানের জুটি। খানিক পর ডি কককে ফেরান সাকিব। বাঁহাতি স্পিনারকে ছক্কায় ওড়াতে চেয়েছিলেন ডি কক। তবে ডিপ মিড উইকেটে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন আফিফ। ৪১ বলে ২টি ছক্কা ও ৯ চারের সাহায্যে ৬২ রান করেন ডি কক।
দ্রুত দুই উইকেট হারালেও দলকে চাপে পড়তে দেননি বাভুমা আর ভেরেইনা। দলের হাল ধরে জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে থাকেন দুই জন। তবে শেষ দিকে এসে আউট হন অধিনায়ক বাভুমা। স্পিনার আফিফকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সীমানা পার করতে পারেননি। চমৎকার ক্যাচ নেন শরিফুল ইসলাম। ভাঙে ১০১ বল স্থায়ী ৮২ রানের জুটি। ৫২ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় ৩৭ রান করেন বাভুমা। এরপর ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন ভেরেইনা। দলকে পাইয়ে দেন ৭ উইকেটের বড় জয়।