জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০ প্রদানকালে শিক্ষামূলক চলচ্চিত্র নির্মাণে উৎসাহ দেন- প্রধানমন্ত্রী

image

You must need to login..!

Description

বিএমটিভ নিউজ ডেস্কঃ  আজ বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২০ প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারও অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত থাকছেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছেন। এজন্য অনুষ্ঠানের শুরুতেই তিনি শিল্পীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বেলা ১২টার দিকে শুরু হয় পুরস্কার প্রদান। অভিনেত্রী আনোয়ারার হাতে আজীবন সম্মাননা তুলে দেয়ার মধ্য দিয়ে এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

তবে শারীরিক অসুস্থতার জন্য নিজে উপস্থিত হতে পারেননি আনোয়ারা। তার হয়ে আজকের আয়োজনের সভাপতি তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন আনোয়ারার মেয়ে মুক্তি।
আনোয়ারাকে মঞ্চে না দেখে কারণ জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। অভিনেত্রী অসুস্থ জানতে পেরে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আনোয়ারা আসতে পারেনি। আমি জানতাম না যে তিনি অসুস্থ। শুনে খুব দুঃখ পেলাম। তার রোগ মুক্তি কামনা করি। এ সময় কিংবদন্তি অভিনেত্রী আনোয়ারার যে কোনো সহযোগিতায় পাশে থাকার কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তার ভাষ্য, ‘প্লেনে করে দেশের বাইরে গেলে দেশি সিনেমা দেখি। প্রোডাকশনগুলো খুব ভালো লাগে। কেউ যদি পেনড্রাইভে ছবি পাঠান সেটাও দেখি। ভালোই লাগে সিনেমা দেখতে। আমাদের দেশে সুপ্ত প্রতিভা আছে। তাদের কাজ দেখে মুগ্ধ হই।’

প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, চলচ্চিত্রে জীবন দর্শন প্রকাশ পায়। ইতিহাসের বার্তাবাহক চলচ্চিত্র। তাই বিনোদনের সাথে শিক্ষামূলক নির্মাণে উৎসাহ দেন তিনি।

উল্লেখ্য, আজ ৩২ জনকে জাতীয় পুরস্কার-২০২০ প্রদান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ পদকগুলো তুলে দেন। এ সময় অতিথি হিসেবে আরও ছিলেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

এ আসরে আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন খ্যাতিমান দুই অভিনয়শিল্পী আনোয়ারা বেগম ও রাইসুল ইসলাম আসাদ। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ২০২০ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে কে কে বিজয়ী হয়েছেনশ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (যৌথভাবে)- ১. গোর (গাজী রাকায়েত, ফরিদুর রেজা সাগর), ২. বিশ্বসুন্দরী (অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু)

শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র- আড়ং

শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র- বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়

শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক- গাজী রাকায়েত হোসেন (গোর)

শ্রেষ্ঠ অভিনেতা- সিয়াম আহমেদ (বিশ্বসুন্দরী)

শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী- দীপান্বিতা মার্টিন (গোর)

শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা- ফজলুর রহমান বাবু (বিশ্বসুন্দরী)

শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী- অপর্ণা ঘোষ (গণ্ডি)

শ্রেষ্ঠ খল অভিনেতা- মিশা সওদাগর (বীর)

শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী- মুগ্ধতা মোর্শেদ হৃদ্ধি (গণ্ডি)

শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার- শাহাদৎ হাসান বাধন (আড়ং)

শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক- বেলাল খান (হৃদয় জুড়ে)

শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক- প্রয়াত সহিদুর রহমান (বিশ্বসুন্দরী)

শ্রেষ্ঠ গায়ক- ইমরান মাহমুদুল (বিশ্বসুন্দরী)

শ্রেষ্ঠ গায়িকা (যৌথভাবে)- ১. দিলশাদ নাহার কণা (বিশ্বসুন্দরী), ২. সোমনুর মনির কোনাল (বীর)

শ্রেষ্ঠ গীতিকার- কবির বকুল (বিশ্বসুন্দরী)

শ্রেষ্ঠ সুরকার- ইমরান মাহমুদুল (বিশ্বসুন্দরী)

শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার- গাজী রাকায়েত (গোর)

শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার- গাজী রাকায়েত (গোর)

শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা- ফাখরুল আরেফীন খান (গণ্ডি)

শ্রেষ্ঠ সম্পাদক- শরিফুল ইসলাম (গোর)

শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক- উত্তম কুমার গুহ (গোর)

শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক (যৌথভাবে)- ১. পঙ্কজ পালিত (গোর), ২. মাহবুব নিয়াজ (গোর)

শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক- কাজী সেলিম আহমেদ (গোর)

শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা- এনাম তারা বেগম (গোর)

শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান- মোহাম্মদ আলী বাবুল (গোর)

প্রধান সম্পাদকঃ
মতিউল আলম

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
মাকসুদা আক্তার