হুমকী-ধমকী-মিথ্যাচার করে ক্ষমতায় টিকে থাকার দিন শেষঃ এমরান সালেহ প্রিন্স

image

You must need to login..!

Description

বিএমটিভ নিউজ ডেস্কঃ   বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে
মিথ্যাচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করে ক্ষমতায় টিকে থাকার কৌশল নিয়েছে।  হুমকী-ধমকী-মিথ্যাচার করে ক্ষমতায় টিকে থাকার দিন শেষ। তিনি বলেছেন, করুণ পরিনতির ভয়ে শঙ্কিত সরকার তার উচ্ছিষ্টভোগী কর্মচারীদের দিয়ে বিরোধী দলকে ধমক ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সম্পর্কে অশালীন,ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দেওয়াচ্ছে। তিনি বলেন, আমেরিকার ধমকে রাতারাতি পল্টি খেয়ে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দিয়েছে, সেদিন বেশী দূরে নয়,যেদিন জনগণের ধমকে সরকার গদি ছাড়বে। জনগণের ট্যাক্সে যাদের বেতন হয়, তাদের ধমক জনগণ তোয়াক্কা করে না। তিনি বলেন,আমরা জনগণ, আমরাই বাংলাদেশ। ভোট ডাকাত,দূর্নীতিবাজ,লুটেরা এবং তাদের পাহাড়াদার,তল্পিবাহকদের সাথে জনগণ তাদের সাথে নাই। তিনি বলেন,রাজনীতি করার খায়েশ থাকলে পোষাক খুলে জনতার কাতারে আসুন। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন খেয়ে জনগণের নেত্রীর বিরুদ্ধে অশালীন বক্তব্য দিলে জনগণ ক্ষমা করবে না।


এমরান সালেহ প্রিন্স আজ দুপুরে জামালপুরে সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জামালপুর শহরের নিউ কলেজ রোডে বিএনপি জেলা কার্যালয়ের সম্মুখ রাস্তায় বেলা ১২ টায় সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির সভাপতি এড.ফরিদুল কবির তালুকদার শামীম। পরে প্রধান অতিথি জাতীয় পতাকা এবং সদর উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়ন ও পৌর ইউনিটের অন্তর্গত ১৬ টি ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় জাতীয় ও দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। নেতৃবৃন্দ কবুতর ও বেলুন উড়িয়ে দেন। সম্মেলনের আগ মহুর্তে ক্ষমতাসীন নেতাদের চাপে সম্মেলনের পূর্বনির্ধারিত স্থান বরাদ্দ বাতিল করায় বাধ্য হয়েই বিএনপির অফিসের সামনে উন্মুক্ত রাস্তায় খোলা আকাশের নীচে প্রচন্ড রোদের মধ্যে বসে ৩৩ টি ইউনিটের হাজার হাজার কাউন্সিলর ও ডেলিগেট সম্মেলন সফল করেন।

জামালপুর সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শফিউর রহমান শফির সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব রুহুল আমিন মিলন ও পৌর বিএনপির সদস্য সচিব শাহ আব্দুল্লাহ আল মাসুদ এর সঞ্চালনায় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এড.ওয়ারেস আলী মামুন, সাবেক উপমন্ত্রী বীরমুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক, জেলা বিএনপির সহ সভাপতি এড.গোলাম নবী, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক লিয়াকত আলী,আমজাদ হোসেন,জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শহীদুল আলম দুলাল, লোকমান আহমেদ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সজীব হোসেন প্রমুখ।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে নেতৃত্ব নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে শফিউর রহমান শফি ও সাধারণ সম্পাদক পদে রুহুল আমিন মিলন এবং পৌর বিএনপির সভাপতি পদে লিয়াকত আলী ও সাধারণ সম্পাদক পদে শাহ আব্দুল্লাহ আল মাসুদ সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হয়েছেন।

সম্মেলনে এমরান সালেহ প্রিন্স প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যিনি গণতন্ত্রকে নিজের ভ্যানেটি ব্যাগে বন্দী করে রেখেছেন, তিনি কি না বলেন বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রকে আচলে বেঁধে রেখেছিলেন। অথচ, বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্বে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র ফিরে এসেছিল।দেশনেত্রীর হাত ধরেই দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র শুরু হয়েছিল। বরং আওয়ামীলীগ গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার ,মানবাধিকার হরণ করে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে। যাদের দূর্বতা ও উদাসীনতার কারণে ৯৬ পরবর্তীকালে দেশ জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত হয়েছিল তারা বলে বিএনপি করেছিল।
অথচ,বেগম খালেদা জিয়া আওয়ামী লীগের রেখে যাওয়া সন্ত্রাস,জঙ্গীবাদ নির্মুল করতে র‍্যাব গঠন করেছিলেন এবং সফলতার সাথে সন্ত্রাস,জঙ্গীবাদ নির্মুল হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামীলীগ সেই র‍্যাবকে নিজেদের অনৈতিক শাসন দীর্ঘায়িত করতে গুম-খুনের কাজে অপ ব্যাবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ডেকে নিয়ে এসেছে। তিনি নবনির্বাচিত নতুন নেতৃত্বেকে সর্বাত্মক আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমেই দুঃশাসনের অবসান ঘটানো হবে।

সম্মেলনে ওয়ারেস আলী মামুন বলেন, আওয়ামী লীগ যদি মনে করে বিগত দিনের মতো ভোট চুরি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে, তবে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে বেশি দিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। সম্মেলনে প্রতিবন্ধকতা সৃস্টির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, জামালপুরের রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট করবেন না। ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসে রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিয়ে সরকার ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে।