পাকা ঘরসহ একখন্ড জমি পেয়ে আনন্দে আত্মহারা ময়মনসিংহ সদরের বিধবা রেজিয়া

image

You must need to login..!

Description

মতিউল আলম,বিএমটিভি নিউজঃ  ৩০ বছর ধরে অন্যর জমিতে একটা চাপড়া ঘর বেধে বসবাস করে আসছিলেন ময়মনসিংহ সদরের গন্দ্রপা গ্রামের ভুমিহীন ৬০ বছরের বৃদ্ধা রেজিয়া খাতুন ও তার সন্তানরা। আজ সোমবার দুপুরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও পুলিশের আইজিপির সহযোগিতায় পাকা ঘরসহ একখন্ড জমি পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান বিধবা রেজিয়া খাতুন। আজ থেকে ১০ বছর আগে ৫ ছেলেমেয়ে রেখে স্বামী রাজমিস্ত্রী আবদুল খালেক মারা যান। ছেলেমেয়েরা দিনমজুরী করে কোন মতে দু’মুঠো লবণ ভাতের ব্যবস্থা করলেও একখন্ড জমি কিনে একটা ঘর করার সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি। আজ সোমবার জমির দলিলসহ ঘরের চাবি পেয়ে বৃদ্ধা তার কষ্টের বর্ননা দিলেন। স্বপ্নের পাকাঘর ও ঠিকানা পেয়ে খুশিতে আত্মহারা তিনি। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।

মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রোববার (১০ এপ্রিল) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি গৃহ হস্তান্তর এবং নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজারবাগ বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ লাইনস, পীরগঞ্জ থানা এবং মাগুরা সদর থানা সরাসরি অনুষ্ঠানে যুক্ত থাকেন। এছাড়া বাংলাদেশ পুলিশের সব থানা ও সব পুলিশ লাইন্স প্রান্ত ওয়ানওয়ে সংযুক্ত থেকে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।
গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি গৃহ হস্তান্তর এবং নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক উদ্বোধন অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ । এসময় উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এড, জহিরুল হক খোকা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বি, কোতোয়ালী থানার ওসি শাহ কামাল আকনন্দ, ওসি তদন্ত ফারুক আহমেদ, সিটি কাউন্সিলর ফারুক হাসান ও কাউন্সিলর আনিসুর রহমান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুর রবসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সাংবাদিকগণ ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষে ঘোষণা করেছিলেন, বাংলাদেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সহায়ক হিসেবে পুলিশ গৃহহীনদের জন্য গৃহ নির্মাণ করেছে।

এ কর্মসূচির আওতায় ৫১৯টি থানায় ৫২০টি গৃহ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ৪০০ গৃহ হস্তান্তর করা হয়। ৪১৫ বর্গফুট আয়তনের দৃষ্টিনন্দন প্রতিটি গৃহ পরিবেশবান্ধব নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

গৃহহীন পরিবার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা নারী, প্রতিবন্ধী ও উপার্জনে অক্ষম, অতিবৃদ্ধ ও পরিবারে উপার্জনক্ষম সদস্য নেই এমন পরিবার অথবা অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।##