You must need to login..!
Description
স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ শেরপুর (কানাসাখোলা)-ভীমগঞ্জ-নারায়ণখোলা-রামভদ্রপুর-পরানগঞ্জ-ময়মনসিংহ (রহমতপুর) সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প; ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৪২ কোটি ২৭ লাখ টাকার প্রকল্পসহ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) ১০ মে’র সভায় ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদিত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৫ হাজার ৮২৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। মে ২০২২ হতে এপ্রিল ২০২৫ খ্রি. এর মধ্যে এ প্রকল্পটির বাস্তবায়ন হবে।
মঙ্গলবার (১০ মে) সকাল ১০টায় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শুরু হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অন্যদিকে শেরে-বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রী ও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মোঃ নজরুল ইসলামসহ সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ সম্মেলনে সভার বিস্তারিত জানান।
ময়মনসিংহ অংশে রেলওয়ে ওভারপাসসহ ব্রহ্মপুত্র নদের উপর প্রায় দেড় কিলোমিটার সেতুসহ (দৈর্ঘ্য-১৪৭১.৬৬ মিটার) সড়কটির মোট দৈর্ঘ্য ৪৪.৯০৬ কি:মি:। এছাড়াও আরো ৭টি সেতু এবং ৭৭টিআরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।
বিগত ১৭ আগস্ট ২০১৬ খ্রি. তারিখে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে “ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহর উন্নয়ন” বিষয়ক সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক নতুন শহরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ব্রহ্মপুত্র নদে ৩ (তিন) টি সেতু নির্মাণের জন্য লিখিত নির্দেশনা প্রদান করেন। যা একটি সেতুসহ সংযোগ সড়ক নির্মাণ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
একনেক প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর (কানাসাখোলা)-ভীমগঞ্জ-নারায়ণখোলা-রামভদ্রপুর-পরানগঞ্জ-ময়মনসিংহ (রহমতপুর) সড়কটি নির্মিত হলে শেরপুরের সাথে ময়মনসিংহসহ রাজধানীর সাথে দূরত্ব প্রায় ২০ কিঃমিঃ কমে যাবে। সেইসাথে নাঁকুগাও স্থলবন্দর, কুড়িগ্রাম ও উত্তরবঙ্গের সাথে যোগযোড়ের রাস্তাও ২০ কিঃমিঃ করে কমে যাবে।
তাছাড়া নকলা তথা শেরপুরবাসী ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরকে বাইপাস করে যানজট সম্পূর্ণ এড়িয়ে স্বল্পতম সময়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য শহরে যাতায়াত করতে পারবে। শেরপুরবাসী ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরকে বাইপাস করে যানজট সম্পূর্ণ এড়িয়ে স্বল্পতম সময়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য শহরে যাতায়াত করতে পারবে এবং দেশের ১০০টি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক জোনের মধ্যে শেরপুর ১টি; যা এ সড়কের মাধ্যমে সারা দেশের সাথে সংযুক্ত হবে।
শেরপুর ও ময়মনসিংহ এর সাথে সড়ক কাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমেসমগ্র দেশে সার, পাট, কৃষিজাত উৎপাদিত পণ্য পরিবহন সহজতর করা। উন্নত সওজ সড়ক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অত্র অঞ্চলের সাথে সমগ্র দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। নিরবিচ্ছিন্ন, যানজটমুক্ত নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ নিশ্চিত করা। টেকসই ও ব্যয়সাশ্রয়ী (পরিবহন ব্যয় ও সময়) সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ এবং সমন্বিত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
শেরপুর (কানাসাখোলা)-ভীমগঞ্জ-নারায়ণখোলা-রামভদ্রপুর- পরানগঞ্জ- ময়মনসিংহ (রহমতপুর) সড়ক উন্নয়ন (জেড-৪৬১৮) এর প্রকল্পের সড়ক শেরপুর (কানাসাখোলা)-ভীমগঞ্জ- নারায়ণখোলা-রামভদ্রপুর-পরানগঞ্জ-ময়মনসিংহ (রহমতপুর) সড়কটিতে মোট ১২টি সড়কাংশ রয়েছে, যার মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর মালিকানাধীন সড়ক সংখ্যা ৮টিও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এর ২ কিঃমিঃ কাঁচা বেড়ীবাঁধ সড়ক এবং বাকী অংশ নতুন এ্যালাইনমেন্ট।
এই সড়কটি শেরপুর জেলার কানাসাখোলা নামক স্থানে শেরপুর-নকলা-ফুলপুর সড়কের ৬২তম কিঃমিঃ থেকে ভীমগঞ্জ বাজার, চন্দ্রকোনা বাজার, নারায়নখোলা বাজার, চরবসন্তী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিংগীমারী, রামভদ্রপুর বাজারের বামের সড়ক নিয়ে কাচারী মোড়ের বামের পাকা সড়ক দিয়ে পরাণগঞ্জ থেকে চরহাসাদিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের কাঁচা সড়ক হয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড এর বেড়ীবাঁধে উঠে বামের সড়ক নিয়ে ২ কিঃমিঃ অতিক্রম করে ডানের কাঁচা সড়কে ধরে ব্রহ্মপুত্র নদ পার হয়ে সোজা মধুপুর- ময়মনসিংহ (এন-৪০১) জাতীয় মহাসড়কের ৪১তম কিঃমিঃ এ এবং ময়নসিংহ শহর বাইপাস সড়কের (এন-৩০৯) সংযোগস্থলে রহমতপুর নামক স্থানে মিলিত হয়েছে।
বিগত ১৭ আগস্ট ২০১৬ খ্রি. তারিখে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে “ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহর উন্নয়ন” বিষয়ক সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক নতুন শহরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ব্রহ্মপুত্র নদে ৩ (তিন) টি সেতু নির্মাণের জন্য লিখিত নির্দেশনা প্রদান করেন। এ প্রেক্ষিতে বিভাগীয় কমিশনার, ময়মনসিংহ প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত কার্যবিবরনীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জিরো পয়েন্ট, খাগডহর ও শম্বুগঞ্জ রেলব্রিজ এর নিকটে তিনটি ব্রিজ নির্মানের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন (পত্র সংযুক্ত)। সেমতে এই ডিপিপি তে খাগডহরের নিকটে ১৪৭১.৬৬ মিটার দীর্ঘ ব্রহ্মপুত্র সেতু নির্মাণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সার্বিক বিবেচনায় বর্তমানে সড়কটিকে আঞ্চলিক মহাসড়ক হিসাবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর-এ অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। সড়কটিকে আঞ্চলিক মহাসড়কের যথাযথ মান ও প্রশস্থতায় ঊন্নীত করার লক্ষ্যে বর্তমান প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে।
সড়কটির দৈর্ঘ্য ৪৪.৯০৬ কি:মি: এবং বিদ্যমান প্রস্থ গড়ে ৩.০মিটার – ৩.৭মিটার। এ পরিপ্রেক্ষিতে সড়কটি উভয় পাশে ১.৫ মিটার করে হার্ডশোল্ডারসহ মোট ১০.৩০ মিটার প্রস্থে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে প্রকল্প প্রস্তাবনা করা হয়েছে।
উল্লেখিত সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের মুল অংশটি ১০.০০ কিঃমিঃ দীর্ঘ ময়মনসিংহ শহর বাইপাস সড়ক (এন-৩০৯) হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য শহরে যাতায়াত করে থাকবে।
প্রকল্পে ২৪৩.০০ মিটার নতুন কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। ১৯.৮৩ কিঃমিঃ নতুন পেভমেন্ট নির্মাণ কাজ, ১৭.৩০১ কিঃমিঃ পুনঃনির্মাণ কাজ ও ৪.১০ কিঃমিঃ রিজিড পেভমেন্ট নির্মাণ করা হবে।
জাতির জনকের সুযোগ্য কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ময়মনসিংহ বিভাগের উন্নয়নের প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক হয়ে শেরপুর (কানাসাখোলা)- ভীমগঞ্জ-নারায়ণখোলা-রামভদ্রপুর-পরানগঞ্জ-ময়মনসিংহ (রহমতপুর) সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পটির অনুমোদন দিয়ে আবারো মহানুভবতার পরিচয় দেয়ার জন্য বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি, ময়মনসিংহ বিভাগ উন্নয়ন পরিষদসহ এ অঞ্চলের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতৃ মন্ত্রণালয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপির প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতার জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।
কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিবৃতিদাতাগণ হলেন- গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে. এম খালিদ এমপি, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু, ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ প্রশাসক অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমিনুল হক শামীম সিআইপি, জেলা নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট এএইচএম খালেকুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক ও ময়মনসিংহ বিভাগ উন্নয়ন পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নূরুল আমিন কালাম, ময়মনসিংহ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন, ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও জয়যাত্রা টেলিভিশনের এমডি এফএমএ সালাম এবং বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম প্রমূখ। এছাড়াও অভিনন্দন জানিয়েছেন ময়মনসিংহ বিভাগ উন্নয়ন পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও শেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার, ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেরপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবিহা জামান শাপলা, শেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শরিফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মেরাজ উদ্দিন।###