You must need to login..!
Description
বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃ
বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীদের প্রেমের টানে সাত-সমুদ্র তের নদী পাড়ি দিয়ে নিজ দেশ ছেড়ে চলে আসছেন ভিনদেশি তরুণ-তরুণীরা। একজন, দুইজন নয় বরং চলতি বছরে মোট ১০ জন বিদেশি প্রেমিক-প্রেমিকা বাংলাদেশে এসেছেন। তন্মধ্যে ৭ জন তরুণী ও ৩ জন তরুণ। তাদের প্রত্যেকে আমাদের দেশের চেয়ে উন্নত দেশের নাগরিক। এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রেমিক পুরুষ প্রেমের টানে সম্প্রতি গাজীপুরে এসে বিয়ে করেন। এছাড়াও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে সবচেয়ে বেশি ঝড় তুলেছে বেলারুশের মেয়ে ও লক্ষ্মীপুরর ছেলে হাবিব-নাতালিয়ার প্রেম কাহিনী।
প্রেমের টানে ভিনদেশিরা কেন বাংলাদেশে?
প্রথমত প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে৷ ফলে ভিনদেশে যোগাযোগ করাটা সহজ হচ্ছে। আর উন্নত দেশের বাসিন্দারা কিছুটা এডভাঞ্জার প্রিয় হয়ে থাকে। ফলে তারা ভিন্নমাত্রা আনার জন্য এটা করে থাকতে পারেন।
বাংলাদেশিদের প্রেমে পড়ে বিদেশিদের দেশত্যাগের বিষয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফাহমিদা আক্তার বলেন, প্রথমত প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে৷ ফলে ভিনদেশে যোগাযোগ করাটা সহজ হচ্ছে। আর উন্নত দেশের বাসিন্দারা কিছুটা এডভাঞ্জার প্রিয় হয়ে থাকে। ফলে তারা ভিন্নমাত্রা আনার জন্য এটা করে থাকতে পারেন। আমাদের দেশে যেমন ভিনদেশে বিয়ে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে ঠিক বৃহৎ পরিসরে না হলেও তার পরিচিত মহলেও এটা নিয়ে আলোচনা হয়
বেলারুশ কন্যা নাতাশা-হাবিব; ছবি: সংগৃহীত
জনপ্রিয় ‘নাতালিয়া-হাবিব’ জুটি
জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখের স্টেডিয়ামে স্টুডেন্ট জব করতে গিয়ে প্রথম পরিচয় হয় বেলারুশের মেয়ে নাতালিয়া রহমান নাতাশা ও বাংলাদেশের লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজলার সন্তান প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান হাবিবের। পরিচয় থেকে মন দেয়া-নেয়া। এরপর হাবিব-নাতালিয়ার প্রণয়। সামাজিক মাধ্যমে সমকালীন জুটিদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় নাতালিয়া-হাবিব জুটি। ২০১৭ সালে ধর্মীয়ভাবে বিয়ের পর আবার ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জার্মানির নিয়মনীতি মেনে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়। বর্তমানে কর্মসূত্রে এই দম্পতি জার্মানির পূর্বাঞ্চলের সাক্সনি অঙ্গরাজ্যের কেমনিজ শহরে থাকেন। তাদের সংসারে নাদিয়া নামে এক কন্যাসন্তান রয়েছে। একজন ভিনদেশির মন কীভাবে জয় করে নিলেন প্রশ্নে হাবিব বলেন, বাঙালি নামের মতো লাগায় নাতালিয়াকে নাতাশা বলে ডাকতাম। নাতাশা যদিও ইউরোপিয়ান নারী কিন্তু যখন প্রথমবার ওর সাথে কথা বলেছি, তার ভেতরটা জানার চেষ্টা করেছি। তখন দেখেছি তার চিন্তা-ভাবনা বাঙালি নারীর মতই। তার চিন্তা, ভাবনাগুলো আমাদের সাথে মিলে যাচ্ছে। সবাই নাতাশাকে বিদেশিনী ভাবেন কিন্তু সে আমার বউ, সহধর্মিনী। তাকে আমার কাছে বিদেশিনী লাগে না।
প্রেমের টানে ইতালিয়ান যুবক ঠাকুরগাঁওয়ে
ইতালিয়ান আলিসেন্ড্রা ছাছিয়া ছিয়ারোমোন্ডা ও রত্না রানী দাস; ছবি: সংগৃহীত
ভালোবাসার টানে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে এসে বিয়ে করলেন ইতালিয়ান যুবক আলিসেন্ড্রা ছাছিয়া ছিয়ারোমোন্ডা। গত সোমবার (২৫ জুলাই) রাতে সনাতন ধর্মের রীতি অনুসারে তিনি বিয়ে করেন। কনে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীর দিনমজুর মারকুস দাসের মেয়ে রত্না রানী দাস। আলিসেন্ড্রা ছাছিয়া ছিয়ারোমোন্ডার আসার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলার চাড়োল ইউপি চেয়ারম্যান দীলিপ কুমার চ্যাটার্জী বিয়ের। কনের বাবা মারকুস দাস বলেন, আমি গরিব মানুষ। ইতালি নাগরিক আমার বাড়িতে এসেছেন। প্রথমে বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত হলেও এখন বেশ আনন্দ লাগছে। মনে হচ্ছে যোগ্যপাত্রে কন্যা দান। এ প্রসঙ্গে কনে রত্না রানী দাস বলেন, আমাদের প্রেম বিয়েতে রূপ নিয়েছে। এর চেয়ে আনন্দের আর কিছু হতে পারে না। আমাদের জন্য আশির্বাদ করবেন। স্থানীয় কানু রায় বলেন, বিয়েতে আমরা অনেক আনন্দ করেছি। বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম ডন বলেন, ইতালিয়ান নাগরিক ঠাকুরগাঁওয়ে এসে এক মেয়েকে বিয়ে করছেন বলে আমাদের কাছে খবর আসে। বিষয়টি জানতে পেরে আমরা সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করি।
মালয়েশিয়ার তরুণী কুমিল্লায়
মালয়েশিয়ার নারী নূর আজিমা ও সাইফুল ইসলাম; ছবি: সংগৃহীত
একইভবে ভালোবাসার টানে নূর আজিমা নামে মালয়েশিয়ার এক তরুণী কুমিল্লায় চলে আসেন। গত সোমবার (১১ জুন) মালয়েশিয়ার পেনাং শহর থেকে ওই তরুণী কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার শিলমুড়ি ইউনিয়নের দীঘল গ্রামে ছুটে আসেন। মঙ্গলবার (১২ জুলাই) রাতে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন শিলমুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইসহাক। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, বরুড়া উপজেলার শিলমুড়ি ইউনিয়নের দীঘলগাঁও গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম ১০ বছর ধরে মালয়েশিয়ার পেনাং শহরে ব্যবসা করেন। ব্যবসার সুবাদে ওই শহরের বাসিন্দা নূর আজিমার সঙ্গে পরিচয় হয় সাইফুলের। পরে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কের জের ধরে গতকাল (সোমবার) প্রেমিক সাইফুলের গ্রামের বাড়িতে ছুটে আসেন মালয়েশিয়ান ওই তরুণী। আজ মঙ্গলবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী উভয়ের সম্মতিতে বিয়ে হয় তাদের। তরুণীর প্রেমিক সাইফুল বলেন, নূর আজিমা অত্যন্ত ভদ্র এবং মার্জিত চরিত্রের নারী। আমার এবং তার পরিবারের সম্মতিতে আমরা বিয়ে করি। সে বাংলাদেশে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
আমেরিকান তরুণী গাজীপুরে
মার্কিন তরুণী লায়ডা ও ইমরান হোসেন খান; ছবি: সংগৃহীত
সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় আমেরিকান তরুণীর সঙ্গে গাজীপুরের এক যুবকের। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং দুইজন দুই দেশ থেকে নেপাল গিয়ে বিয়ে করেন। পরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সোমবার (১১ জুলাই) ভোরে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কেন্দুয়া এলাকায় শ্বশুরবাড়ি এসে পৌঁছান আমেরিকান ওই তরুণী। ওই যুবক গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কেন্দুয়া এলাকার আহসান উল্লাহ খানের ছেলে ইমরান হোসেন খান এবং ওই তরুণী লায়ডা এ লোজা আমেরিকান অঙ্গরাজ্য এরিজোনার বাসিন্দা। ইমরান হোসেন খান জানান, চলতি বছরের জানুয়ারিতে সামাজিকমাধ্যমে ফেসবুকে পরিচয় হয় আমেরিকার নাগরিক লায়ডা এ লোজার সঙ্গে। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওইসময় আমেরিকান তরুণী লায়ডা এ লোজা বাংলাদেশে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে আসতে পারেননি। পরে দুইজন দুই দেশ থেকে নেপাল গিয়ে বিয়ে করেন। একপর্যায়ে ঈদের দিন রোববার (১০ জুলাই) রাতে হযরত শাহজালাল আন্তজাতিক বিমানবন্দর এসে পৌঁছান আমেরিকান তরুণী লায়ডা এ লোজা। পরে আজ ভোরে গাজীপুরের শ্রীপুরে শ্বশুরবাড়ি এসে পৌঁছান আমেরিকান ওই তরুণী। এদিকে আমেরিকান তরুণী ও এলাকার পুত্রবধূকে দেখতে মানুষজন ছুটে গিয়ে ভিড় করছেন ইমরান হোসেন খানের বাড়িতে।
ইন্দোনেশিয়ার ফানিয়া লক্ষ্মীপুরে
ইন্দোনেশিয়ান ফানিয়া আইঅপ্রেনিয়া ও রাসেল আহমেদ; ছবি: সংগৃহীত
একইভাবে ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন ফানিয়া আইঅপ্রেনিয়া নামে এক ইন্দোনেশিয়ান তরুণী। গত সোমবার (৭ মার্চ) বিকেলে ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি ফ্লাইটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে আসে। সেখান থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া গ্রামে রাসেল আহমেদের কাছে আসেন। এই ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। আশপাশের গ্রামের মানুষ ভিড় করছেন ওই ইন্দোনেশিয়ান তরুণীকের দেখার জন্য। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সকালে রায়পুরের রাখালিয়া গ্রামে রাসেল আহমেদের বাড়ি গিয়ে প্রতিবেদক দেখতে পায়, রাসেলের পরিবারের সঙ্গে গল্প করছেন ফানিয়া। জানা গেছে,প্রায় চার বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে ফানিয়ার সঙ্গে রাসেলের পরিচয়ের পর বন্ধুত্ব ও ঘনিষ্ঠতা। এক পর্যায়ে তা অদেখার দূরত্ব ঘুচিয়ে প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। রাসেল জানান, দুই মাসের ছুটি নিয়ে এসেছেন ফানিয়া। তবে এক সময় ফানিয়াকে নিয়ে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে বসবাস করতে চান তিনি। ফানিয়াও বাংলাদেশে থাকার ব্যাপারে আগ্রহী। ফানিয়া জানান, রাসেলের প্রতি গভীর ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে এসেছেন।
মালয়েশিয়ার তরুণী গাজীপুরে
মালয়েশিয়ান কন্যা চাকুরে নুরকারমিলা বিনতে হামিদ ও জাহাঙ্গীর আলম; ছবি: সংগৃহীত
অন্যান্যদের মতো মালয়েশিয়ান এক যুবতী গাজীপুর সিটির জোলারপাড় এলাকার যুবকের প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসেন। এসে ধুমধাম করে বিয়েও হয়েছে। মসজিদে অনুষ্ঠিত এই বিয়েতে হাজির হয়ে গ্রামবাসী আনন্দ উল্লাস করেছেন। গোটা এলাকায় তাদের নিয়ে যেন চলছে উৎসবের আমেজ। মালয়েশিয়ার কামপুং কেলেওয়াক এলাকার বাসিন্দা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরে নুরকারমিলা বিনতে হামিদ পাঁচ দিন আগে গত ১৮ জুলাই প্রেমের টানে ছুটে এসেছেন প্রেমিক গাজীপুরের জাহাঙ্গীর আলমের বাড়িতে। এখানে এসে মুগ্ধ তিনি। জাহাঙ্গীর মালয়েশিয়া থাকার সুবাদে তার প্রেমে পড়ে। নুরকারমিলার মতে, বাঙালি ছেলে জাহাঙ্গীর খুব ভালো, সৎ ও দায়িত্বশীল। একজন অপরজনকে গভীরভাবে চিনেছেন, জেনেছেন। তাই শুধু সবচেয়ে ভালো বন্ধু না ভেবে, জীবন সঙ্গী করতে এখানে ছুটে এসেছেন।
মালয়েশিয়ার তরুণী রাজশাহীতে
মালয়েশিয়ার কন্যা স্যান্ডি ও জুলফিকার; ছবি: সংগৃহীত
প্রেমের টানে একইভাবে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে রাজশাহী এসেছেন ২০ বছর বয়সী মালয়েশিয়ান তরুণী স্যান্ডি। মন দেয়া-নেয়ার পর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন প্রেমিক জুলফিকারের সঙ্গে। জুলফিকার রাজশাহী মহানগরীর বিনোদপুর এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে। জুলফিকার প্রায় ৮ বছর আগে পড়ালেখার জন্য মালয়েশিয়ায় যান। সেখানে পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন একটি চাকরিও করতেন। ওই সময় জুলফিকারের সঙ্গে পরিচয় হয় এই তরুণীর। এই পরিচয় একটা সময় পর পরিণেয় রূপ নেয়। এরপর দুইজনের মধ্যকার প্রেমের সম্পর্ক আরও গভীরতা পায়। শেষ পর্যন্ত ভালোবাসার টানে বাবা-মাকে ছেড়ে উড়ে আসেন রাজশাহীতে। এখানে এসে জুলফিকারের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন স্যান্ডি। তার পরিবারও স্যান্ডিকে আনন্দ উৎসবের মাধ্যমেই বরণ করে নেন। ঈদের তিন দিন পর গত ১৪ জুলাই ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এই বিয়েতে খুশি জুলফিকারের গোটা পরিবার, স্বজন, বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। বিয়ের পর জুলফিকার বলেন, এই বিয়ে নিয়ে আমার ভাই-বোন ও মা আত্মীয়-স্বজন সবাই খুব খুশি। স্যান্ডি আবারও প্রমাণ করলেন সত্যিকারের ভালোবাসা কোনো বাধা, ধর্ম ও ভাষা মানে না।
মার্কিন যুবক গাজীপুরে
যুক্তরাষ্ট্রের যুবক রাইয়ান কফম্যান ও সাইদা ইসলাম; ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশি নারীর প্রেমে পড়ে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে গাজীপুরে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের যুবক রাইয়ান কফম্যান। গত ২৯ মে তিনি বাংলাদেশে আসেন। এরপর পরিবারের সম্মতিতে গাজীপুরের মেয়ে সাইদা ইসলামের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। রাইয়ান যুক্তরাষ্ট্রের মিজুরি স্টেটের ক্যানসাস সিটির নাগরিক। তিনি একটি প্লাস্টিক পণ্য তৈরির কারখানায় অপারেটর পদে কাজ করেন। লেখাপড়া করেছেন মাধ্যমিক স্কুল পর্যন্ত। তার মা-বাবা ছাড়াও এক বড় ভাই রয়েছেন। তারা সেখানে প্রত্যেকেই আলাদাভাবে বসবাস করেন। কনে সাইদা ইসলাম (২৬) গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার ভোগড়া মধ্যপাড়া এলাকার মোশারফ হোসেন মাস্টারের নাতনি ও মৃত সিকন্দার আলীর মেয়ে। কনে সাইদা ইসলাম বলেন, ২০২১ সালের এপ্রিলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রথম পরিচয় হয় রাইয়ান কফম্যানের সঙ্গে। এ সময় আমরা নিজেদের ফোন নম্বর, ফেসবুক আইডি ও ঠিকানা বিনিময় করি। এরপর থেকে নিয়মিত যোগাযোগ হতো। ফোন ও ভিডিও কলে কথা বলতে বলতে আমাদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ট হয় এবং দুজন দুজনকে ভালোবেসে ফেলি। এভাবে প্রায় এক বছর ফেসবুকে প্রেম করি। রাইয়ান বিয়ে করার জন্য খ্রিষ্টান ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। পরে তার ও আমার পরিবারের সম্মতিতে এ বছরের ২৯ মে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আসে।
ময়মনসিংহে নেপালি কন্যা
নেপালি কন্যা অনুদেবী ও পলাশ পাল; ছবি: সংগৃহীত
সিঙ্গাপুরে চাকরির সূত্রে পরিচয়, তারপর মন দেয়া নেয়া। প্রেমের আড়াই বছর পর সিদ্ধান্ত হয় দুজনের বিবাহ বন্ধনের। এ সিদ্ধান্তে প্রথমে বাঁধ সাধেন কনের পরিবার। ভিনদেশী ছেলের সাথে এ সম্পর্ক মেনে নিতে চাননি তারা। তবে ভালোবাসার টানে টেকেনি সেই আপত্তি। গত ৭ মার্চ নেপালি কন্যা অনুদেবী চলে আসেন বাংলাদেশে। পলাশের বড় বোন চিত্রনায়িকা জ্যোতিকা জ্যোতি ঢাকায় তাদের বিয়ের আয়োজন করেন। জমজমাট আয়োজনে সম্পন্ন হলো বিয়ে। শনিবার (১২ মার্চ) ময়মনসিংহের গৌরীপুরের সহনাটি ইউনিয়নের হতিহর গ্রামে বরের বাড়িতে বৌভাত অনুষ্ঠিত হয় তাদের। তাদের শুভেচ্ছা জানাতে আসেন স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ রাজনৈতিক ব্যক্তি ও এলাকাবাসী। হতিহর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নিতাই চন্দ্র পাল ও পূর্ণিমা রাণী পালের ছোট ছেলে পলাশ পাল। চিত্রনায়িকা জ্যোতিকা জ্যোতির ভাই তিনি।
তুর্কি তরুণী ময়মনসিংহে
তুর্কি কন্যা আয়েশা ওজতেকিন ও হুমায়ন কবীর; ছবি: সংগৃহীত
প্রেমের টানে সুদূর তুরস্ক থেকে স্বদেশ ছেড়ে বাংলাদেশের ময়মনসিংহে এসেছেন আয়েশা ওজতেকিন নামে এক তরুণী। এ খবরে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ইতোমধ্যে শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ওই তরুণীর শুভ বিবাহ সম্পন হয়েছে স্থানীয় তরুণ হুমায়ন কবীরের সঙ্গে। বর হুমায়ুন কবির মুক্তাগাছার মো. হাসানের ছেলে। তিনি ২০১০ সালে তুরস্কের আনকারা শহরের হাজেত্তেপে ইউনিভার্সিটিতে মেডিসিন বিভাগে পড়াশোনা করতে যান। এরপর ২০১৮ সালে আনাতোলিয়া শহরের লাইফ হসপিটালে চাকরির সুবাদে হাসপাতালের প্রধান হিসাবরক্ষক আয়েশা ওজতেকিনের সঙ্গে পরিচয়। সেই পরিচয় থেকে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। আয়েশা ওজতেকিন বলেন, আমার বাবা রাজি ছিলেন না এই সম্পর্কে। হুমায়ুন আমার অনেক কেয়ার করত। তার গুণ বলে শেষ করা যাবে না। তাই আমি ওকে অনেক ভালোবাসি। এ বিষয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, ও অনেক বাংলা গান শোনে, নাটক দেখে। যদিও বাংলা তেমন একটা বোঝে না তাই সাবটাইটেল দিয়ে দেখে। এখন বাংলাদেশি ড্রেসও তার খুব পছন্দ। অন্য দেশের বা অন্য কালচারের কারো সঙ্গে প্রেম বা বিয়ের প্ল্যান সাধারণত আমাদের সেভাবে ছিল না। বিষয়টা ঝুঁকিপূর্ণও। তবে আমাদের বিয়ের ক্ষেত্রে ও-ই এগিয়ে এসেছে।