সাফজয়ী ওঁরা ২৩ জনের একজন তহুরা খাতুন

image

You must need to login..!

Description

বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃ
সাফ ফুটবলে পাঁচ ম্যাচেই অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। আরও ছয়জন খেলেছেন বদলি হিসেবে। ছয়জন মাঠে নামার সুযোগ পাননি। তারপরও সবাই এই বিজয়ের অংশীদার। সাফজয়ী বাংলাদেশ দলের ২৩ খেলোয়াড়ের একজন তহুরা। তার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি লিখেছেন প্রথম আলোর বদিউজ্জামান। এলাকার সবাই তাঁকে ভালোবেসে মেসি নামে ডাকেন। এখন তা উপভোগও করেন। অথচ আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসির সঙ্গে তুলনায় খুশির বদলে একসময় রাগই হতো তহুরা খাতুনের। ক্যারিয়ারের শুরুতে যে মেসিকে চিনতেনই না বাংলাদেশ দলের এই স্ট্রাইকার!

নেপালে অনুষ্ঠিত এবারের সাফে সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রানী সরকার, সিরাত জাহানদের ভিড়ে প্রথম একাদশে নামার সুযোগই পাননি তহুরা। বদলি হিসেবেই খেলেছেন প্রতিটি ম্যাচে। বদলি নেমেই সেমিফাইনালে ভুটানের বিপক্ষে করেছেন ১ গোল।২০১১ সালে বঙ্গমাতা স্কুল ফুটবল দিয়ে প্রথম আলো কাড়েন তহুরা। এমন একটা সময় ছিল, যখন কলসিন্দুর গ্রামের পাশের ধোবাউড়া বাজারও চিনতেন না তিনি। অথচ ফুটবলের সুবাদে দেখা হয়ে গেছে নেপাল, ভুটান, ভারত, তাজিকিস্তান, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান, জাপান, হংকংসহ কত দেশ!

বয়সভিত্তিক ফুটবলে হ্যাটট্রিক করাটাকে অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছিলেন তহুরা। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ চ্যাম্পিয়নশিপ, সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ টুর্নামেন্ট, অনূর্ধ্ব-১৫ জকি কাপ—এই তিন টুর্নামেন্টে করেছিলেন ৫টি হ্যাটট্রিক করে রেকর্ড সৃষ্টি করেন। অথচ তহুরাকে ফুটবল খেলতে দিতে চাইতেন না তাঁর দাদা ও দুলাভাই। এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে তহুরার বাড়িতে যান স্কুলের কোচ মফিজ উদ্দিন। পরিবারের সদস্যদের বুঝিয়ে তহুরার খেলার ব্যবস্থা করেন।

কলসিন্দুর সরকারি কলেজের ছাত্রী তহুরা ছেলেদের মতো চুলের ছাঁট দেন। এখনো বাফুফের ক্যাম্প থেকে এলাকায় গেলে ছেলেদের সঙ্গে মারবেল খেলেন। এমনকি সাইকেল চালানো, মাছ ধরা, পাখি শিকার, বাবার সঙ্গে মাঠে ধান লাগানোতেও জুড়ি মেলা ভার তহুরার। ধোবাউড়া উপজেলার মুক্তাগাছা গ্রামের ফিরোজ মিয়ার কন্যা তহুরা। এক ভাই ৪ বোনের মধ্যে ৩য় তহুরা। ##

প্রধান সম্পাদকঃ
মতিউল আলম

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
মাকসুদা আক্তার