কাফি খান, ময়মনসিংহঃ অটোচালক মোঃ মোফাজ্জল হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করে লাশ মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে তার ইজিবাইকটি নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় র্যাব-১৪ এর একটি চৌকস দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন, ছায়া তদন্ত, ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে জোর তৎপরতা শুরু করে।এরই ধারাবাহিকতায় আজ ২৪ অক্টোবর ২০২২ রাত অনুমান ১২ টার সময় ঘটনার সহিত জড়িত মোঃ বাবু মিয়া (২৩), মোঃ রিয়াল মিয়া (২২), মোঃ শামীম (১৯), মোঃ রাসেল (১৪), মোঃ নাইম আহমেদ (২৪), গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার মাওনা এলাকা হতে র্যাব-১৪, সিপিএসসি, টিটিসি, ময়মনসিংহ গ্রেফতার করে। ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয় ।
গত ১৯ অক্টোবর ২০২২ তারিখে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা আমতলী এলাকার ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়কের উপর অজ্ঞাত কে বা কাহারা অটোচালক মোঃ মোফাজ্জল হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা করে লাশ মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে তার ইজিবাইকটি নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনাটি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানা এলাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পরপরই
উল্লেখ্য, মামলার এজাহার পর্যালোচনা এবং র্যাব কর্তৃক ছায়া তদন্ত এবং গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞসাবাদে জানা যায় যে, ভিকটিম মোঃ মোফাজ্জল হোসেন (২৬), পেশায় একজন ইজিবাইক চালক। গত ১৯/১০/২০২২খ্রি. সময় সন্ধ্যা অনুমান ০৭.০০ ঘটিকার সময় ভিকটিম মৃত মোঃ মোফাজ্জল হোসনে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার হবিরবাড়ী আমতলী গ্রামস্থ লাবিব ফ্যাক্টরির সামনে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করতেছিল। এমতাবস্থায় গ্রেফতারকৃত আসামীরা যাত্রীবেশে এমসি বাজার হতে জৈনা বাজার যাওয়ার কথা বলে ভিকটিমের ইজিবাইকে উঠে। ভিকটিম সরল মনে তাদেরকে নিয়ে কিছু দূর যাওয়ার পর ভিকটিম কিছু বুঝে উঠার আগেই গ্রেফতারকৃত আসামী রিয়াল এবং আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু মোঃ রাসেল পিছন দিক থেকে ভিকটিমের গলায় গামছা পেছিয়ে দুইজন দুই দিক থেকে টেনে ধরে এবং গ্রেফতারকৃত আসামী শামীম ভিকটিমের হাত চেপে ধরলে গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ বাবু মিয়া ইজিবাইকের স্টেয়ারিং ধরে ইজিবাইক চালাতে থাকে। তারা ভিকটিম মোঃ মোফাজ্জল হোসেন এর গলায় গামছা পেছিয়ে দুই দিক থেকে টেনে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলন্ত ইজিবাইক হতে লাথি মেরে মোফাজ্জলের লাশ মহাসড়কের পাশে ফেলে তার ইজিবাইক, মোবাইলফোন এবং নগদ পাঁচহাজার টাকা নিয়ে চলে যায়। তারা প্রথমে ইজিবাইকের ব্যাটারি গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ নাইম আহমেদের নিকট ১৯,০০০/- (উনিশ হাজার) টাকায় বিক্রি করে বাবু, রিয়াল এবং শামীম ৬,০০০/- (ছয় হাজার) টাকা করে ভাগ করে নেয় এবং রাসেলকে ২০০/- (দুইশত) টাকা দিয়ে ইজিবাইক বিক্রি করে পরবর্তীতে ভাগ সমন্বয়ের কথা বলে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। র্যাব-১৪, সিপিএসসি এর একটি চৌকস আভিযানিক দল আসামীদের হেফাজত হতে ভিকটিমের ইজিবাইকটি শ্রীপুরের একটি গ্যারেজ হতে ও ইজিবাইকের ৫টি ব্যাটারি নাইমের হেফাজত হতে এবং ভিকটিমের মোবাইল ফোনটি আসামী বাবু মিয়ার হেফাজত হতে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
এব্যাপারে ভিকটিমের পিতা মোঃ দুলাল মিয়া অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। যাহার মামলা নং-৩০, তারিখ-২০/১০/২০২২ খ্রি. ধারা-৩০২/৩৭৯/২০১/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০। ধৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে ভালুকা থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়াধীন।