You must need to login..!
Description
বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃ
গুঞ্জন রটে উদ্বোধনী ম্যাচে কাতারকে জেতাতে ম্যাচ ফিক্সিং করবেন ইকুয়েডরের ৮ খেলোয়াড়। তবে ম্যাচের খেলায় উল্টো কথাও মনে হতে পারে। ছন্দময় ফুটবলে কাতারের রক্ষণ ব্যস্ত রেখেছে লাতিন আমেরিকার দলটি। জোড়া গোলে দলকে শুভ সূচনা এনে দিয়েছেন ইকুয়েডর অধিনায়ক এনার ভ্যালেন্সিয়া। জিতেছেন কাতার বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচসেরা হওয়ার পুরস্কার। একইসঙ্গে ভ্যালেন্সিয়া গড়েছেন রেকর্ড।
রোববার রাতে আল বাইত স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী ম্যাচের বয়স ১০ মিনিটে গড়ানোর আগেই জালের দেখা পেয়ে যায় ইকুয়েডর। তবে এনার ভ্যালেন্সিয়া গোলে গ্যালারিভর্তি ইকুয়েডর সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে পানি ঢেলে দেয় ভিএআরের সিদ্ধান্ত। অফসাইডের খড়গে বাতিল হয় গোল। পার্থক্য গড়ে দিতে অবশ্য সময় নেননি ইকুয়েডর অধিনায়ক ভ্যালেন্সিয়া। ১৬তম মিনিটে ফেনারবাখের এই স্ট্রাইকারকে পা টেনে ফেলে দেন কাতার গোলরক্ষক সাদ আল শিইব।
পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সফলস্পটকিকে ইকুয়েডরকে লিড এনে দেন এনার ভ্যালেন্সিয়া। ৩১তম মিনিটে দলীয় আক্রমণে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইকুয়েডর অধিনায়ক। দ্বিতীয়ার্ধেও একের পর এক আক্রমণ করেছে ইকুয়েডর তবে ব্যবধান বাড়াতে পারেনি। বিপরীতে গোটা ম্যাচে অন টার্গেটে কোনো শটই নিতে পারেনি স্বাগতিক কাতার।
জোড়া গোল করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হওয়ার সঙ্গে একটি রেকর্ড গড়েছেন এনার ভ্যালেন্সিয়া। ফরাসি কিংবদন্তি জিনেদিন জিদান এবং ইংলিশ ফুটবলার জিওফ হারস্টের সমান সংখ্যক বিশ্বকাপ গোল এখন ভ্যালেন্সিয়ারও। তিন জনেরই গোল সংখ্যা ৫।
কাতারের আগে শুধু ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে খেলেছেন এনার ভ্যালেন্সিয়া। সেই আসরে গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল ইকুয়েডর। লাতিন আমেরিকার দলটি গ্রুপপর্বে যে কয়টি গোল পেয়েছিল তার সবকটিই ছিল এনার ভ্যালেন্সিয়ার। গ্রুপপর্বের প্রথম ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ১ গোল এবং হন্ডুরাসের বিপক্ষে ২ গোল করেছিলেন ভ্যালেন্সিয়া।
এদিকে ১৯৯৮, ২০০২ এবং ২০০৬ বিশ্বকাপে খেলেছেন জিনেদিন জিদান। ৩টি আসরের ১২ ম্যাচ খেলে ৫টি গোল করেন তিনি। আর ইংল্যান্ডের জিওফ হারস্ট ১৯৬৬ ও ১৯৭০ বিশ্বকাপ খেলেছেন। দুই আসরে ৬ ম্যাচ খেলে ৫ গোল করেছিলেন তিনি।