You must need to login..!
Description
বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃ ১৯৮৬ সালের পর ২০২২ সালে ফের বিশ্বকাপ জিতল আর্জেন্টিনা। মাঝখানে পেরিয়ে গেছে ৩৬ বছর। আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়ক লিওনেল মেসির জন্যও এই টুর্নামেন্ট বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ এই জয়ের আগের ১৬ বছর টানা ৪টি বিশ্বকাপ খেলতে হয়েছে তাকে।
কিন্তু ঐতিহাসিক এই জয়ের মাধ্যমে লাভ করা বিশ্বকাপ ট্রফি কি আর্জেন্টিনার সমর্থকরা দেশে নিয়ে যেতে পারবেন? এ প্রশ্নের সোজা ও স্পষ্ট উত্তর হলো, ‘না’। কিন্তু ঠিক কী কারণে তারা ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন না— এ প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আমাদের তাকাতে হবে অতীতের দিকে।
জুলে রিমে ট্রফি
বিশ্বে ফুটবল বিশ্বকাপের আসর প্রথম অনুষ্ঠিত হয় ১৯৩০ সালে। তবে সে সময় ফাইনাল ম্যাচে বিজয়ী দলের জন্য যে ট্রফিটি বরাদ্দ ছিল, সেটির নাম ছিল জুলে রিমে। ফিফার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জুলে রিমের নামে নামকরণ করা হয়েছিল সেই ট্রফিটির।
সে সময় ফিফা ঘোষণা দিয়েছিল— কোনো দেশের ফুটবল দল যদি পরপর তিনবার বিশ্বকাপ আসরের ফাইনাল পর্বে বিজয়ী হয়, সেক্ষেত্রে দেশটি সোনা ও রূপায় তৈরি ৩ কেজি ৮০০ গ্রাম ওজনের ট্রফিটি নিয়ে যেতে পারবে।
সেই অনুযায়ী ১৯৬২, ’৬৬ ও ’৭০ সাল জুলে রিমের পরপর তিনটি আসরের চুড়ান্তপর্বে বিজয়ী হওয়ায় ট্রফি নিজের দেশে নিয়ে যায় ব্রাজিল।
নতুন ট্রফি, নতুন নিয়ম
তারপরেই এই নিয়মে পরিবর্তন আনে ফিফা। বিশ্বফুটবলের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারনী এই সংস্থা থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, এখন থেকে কোনো দেশই বিশ্বকাপ ফুটবলের মূল ট্রফি দেশে নিয়ে যেতে পারবে না। যেসব দেশ টুর্নামেন্টের ফাইনাল পর্বে বিজয়ী হবে, তাদেরকে দেওয়া হবে একটি বিশ্বকাপের মূল ট্রফির আদলে তৈরি গোল্ড প্লেটেড রেপ্লিকা, যেটি তৈরি করা হয়েছে ব্রোঞ্জ দিয়ে।
আর মূল ট্রফিটি সংরক্ষিত থাকবে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহরে অবস্থিত ফিফার বিশ্বকাপ জাদুঘরে।
বর্তমানে আমরা ফুটবল বিশ্বকাপের যে ট্রফিটি দেখি, ১৯৭৪ সালের বিশ্বকাপে সেটি প্রথম উন্মুক্ত করা হয়। ইতালীয় শিল্পী সিলভিও গাজ্জানিগা এই ট্রফিটির মূল নকশা করেছিলেন। ৬ কেজি ১৭৫ গ্রাম ওজনের এই ট্রফিটিতে আছে ৪ কেজি ৯২৭ গ্রাম খাঁটি স্বর্ণ।
ফিফার নিয়ম অনুযায়ী, ১৯৭৪ সালের পর থেকে কোনো বিজয়ী দেশ এই ট্রফি নিয়ে যেতে পারেনি এবং আর্জেন্টিনার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটবে না।
এদিকে, ১৯৭০ সালে জুলে রিমে ট্রফি জিতে দেশে নিয়ে গেলেও সেটি ধরে রাখতে পারেনি ব্রাজিল। ১৯৮৩ সালে ব্রাজিলের বৃহত্তম শহর রিও ডি জেনেরিওতে এক প্রদর্শনী থেকে চুরি যায় ট্রফিটি। তারপর আর সেটির কোনো খোঁজ মেলেনি আজ পর্যন্ত।