You must need to login..!
Description
স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি আয়োজিত ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বিষয়ক একটি লেসন লার্নড সেমিনার আজ দুপুরে রাজধানীর মগবাজারস্থ বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন সেমিনারে বিশেষজ্ঞ বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে এদেশে মৃত্যুহার অতিতের চেয়ে কমেছে। এ সম্পর্কিত শত বছরের ইতিহাস, গবেষণার তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন ও তা তিনি বিশ্লেষণ করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭২ সালে ঘূর্নিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির দূরদর্শিতা নিয়েও তিনি আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে প্রাণহানি তিন অংক থেকে এক অংকে নেমে এসেছে। গত তিনটি ঘূর্ণিঝড় থেকে সিত্রাং একটু ভিন্ন ধরনের ছিল। সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে ঘরবাড়ী ও ফসলের। মোট ১৭ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে তবে ঠিক ঘূর্নিঝড়ের না আনুসঙ্গিক অন্য কারণে, তাই সেই কারণগুলো অনুযায়ী খাতভিত্তিক, স্থানিক ও সমন্বিত ইনক্লুসিভ নীতিমালা গ্রহণ করতে হবে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, ‘সঠিক মনিটরিংয়ের ফলে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সময় উপকূলীয় এলাকার ২৪ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া সম্ভব হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের গতিপথ বিক্ষিপ্ত থাকার পরও ১০ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া গেছে। তাই দুর্যোগ মোকাবিলায় শুধু দেশীয় নয়, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় প্রয়োজন। এ সময় দুর্যোগে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে পূর্বাভাসভিত্তিক পর্যবেক্ষণ বাড়ানোরও আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আবদুল ওয়াহ্হাবের সভাপতিত্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উপ মহাসচিব সুলতান আহমেদ, আন্তর্জাতিক রেড ক্রিসেন্ট ফেডারেশন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি আয়োজিত ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বিষয়ক লেসন লার্নড সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন।
হেড অব ডেলিগেশন সঞ্জীব কুমার কাফলে, বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও বিডিআরসিএস’র বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতি তার বক্তৃতায় বলেন, যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় ‘প্রস্তুতিই’ হচ্ছে মূল চাবিকাঠি। ঘূর্ণিঝড়সহ যে কোনো দুর্যোগ ও জরুরি পরিস্থিতিতে সব ধরনের সহায়তা দিতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সদা প্রস্তুত। সিত্রাংয়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি আরও সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব কাজী শফিকুল আযম। এছাড়াও অন্যান্য বক্তারা, দুর্যোগ পূর্ববর্তী ও পরবর্তী যোগাযোগ ব্যবস্থা জোরদারে এবং সর্বোচ্চ ক্ষয়ক্ষতি অনুমান করে সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবার মনোভাব বাড়াতে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবী নীতিমালার খসড়া দ্রুত চূড়ান্তকরণে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।