স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ পুলিশ সদস্যের স্ত্রী মৌসুমী আক্তার (২৫) হত্যার রহস্য উদঘাটন করল ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ। হত্যায় জড়িত স্বামী কনস্টেবল সুজন হাসান (২৭) কে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ময়মনসিংহ পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মৌসুমীকে গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে ধান ক্ষেতে লাশ ফেলে রাখার কথা স্বীকার করেছে স্বামী কনস্টেবল সুজন হাসান।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ শাহ কামাল আকন্দ জানান, গত ১ মার্চ বুধবার সকাল ৮ টায় দিকে কোতোয়ালী মডেল থানার ১০ নং দাপুনিয়া ইউনিয়নস্থ গোষ্টা পশ্চিমপাড়ার নলকুড়িয়া বিলে জনৈক শফিকুল ইসলাম এর ধান ক্ষেত থেকে অজ্ঞাতনামা মহিলার লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত লাশ উদ্ধার করে। জানা যায় মৃত মৌসুমী আক্তার (২৫) ফুলবাড়ীয়া থানার চরকালীবাজাইল গ্রামের আমান উল্লাহ কন্যা। মৃতের স্বামী সুজন হাসান মুক্তাগাছা থানার সৈয়দগ্রাম পূর্বপাড়ার এছাহাক আলীর ছেলে এবং সে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে কনস্টেবল পদে কর্মরত আছেন ।
উক্ত ঘটনায় মৃতের বড় বোন মোছাঃ আয়েশা আক্তার ওরফে শাহনাজ (৪০), বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সং/০৩) এর ১১(ক)/৩০ ধারায় হত্যা মামলা রুজু করলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই(নিঃ) নিরুপম নাগের নেতৃত্বে, কনস্টেবল মিজানুর রহমান, কনস্টেবল জোবায়েদ অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের ঘটনায় সরাসরি জড়িত আসামী কনস্টেবল সুজন হাসান (২৭)কে নারায়নগঞ্জ হতে গ্রেফতার করেন।##
জানা যায়, ২০১৮ সালে উক্ত আসামী সুজন হাসান নিহত মৌসুমী আক্তার’কে বিবাহ করেন। বিবাহের পর হতেই যৌতুক সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাহাদের মধ্যে বিভিন্ন সময় বিরোধ চলে আসছিল। এতে করে আসামীর স্ত্রী ২০১৯ সালে আসামীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে একটি যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন। উক্ত মামলায় আসামী দুই মাস হাজত বাস করেন। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে মীমাংসা হলে বাদী মামলা তুলে নেয়। এরপর আবার যৌতুকের বিষয় নিয়া পুনরায় তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২৮ ফেব্রুয়ারি’২৩ রাত অনুমান সাড়ে ৭টার দিকে আসামী সুজন শ্বশুরবাড়িতে যায়। কৌশলে মৃত মৌসুমীকে কোতোয়ালী থানার গোষ্টা পশ্চিমপাড়া নলকুড়িয়া বিলে জনৈক শফিকুল ইসলাম এর ধানক্ষেতের পাশে একই তারিখ রাত ৮টার দিকে আসামী তার স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে তার গলায় ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে ধান ক্ষেতে লাশ ফেলে রেখে চলে যায়। উক্ত আসামীকে গ্রেফতারকালে তার কর্দমাক্ত জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়।##
মতিউল আলম