You must need to login..!
Description
:স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ,
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে ৭ মার্চ (সোমবার) ময়মনসিংহে দিনভর নানামুখী কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ আয়োজন করা হয়।
ময়মনসিংহ জেলা শিল্পকলা একাডেমির সম্মেলনকক্ষে দিবসটির তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, যে নেতার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি অর্থাৎ এ বাংলার জনপদের মানুষ পরাধীনতার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে, স্বাধীনতা পেয়েছে, মুক্তি লাভ করেছে, সে আর কেউ নয় আমাদের মহান নেতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সাড়ে ৭ কোটি বাঙালির শক্তি ও সাহস যোগিয়েছেন তিনি। যার হাত ধরে পরাধীনতার শিকল ভেঙেছে বাঙালি জাতি, যে কিনা স্বাধীনতা এনে দিয়েছে তাঁরই স্মরণে আজকে আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি। যার ডাকে স্বাধীনতা পাওয়ার জন্য এই বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি বিন্দুতে রূপান্তরিত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবন যৌবনের অধিকাংশ সময় কারারুদ্ধ ছিলেন। বাঙালি জাতির প্রতিটি অধিকার সংগ্রামে রাজপথে আন্দোলন করেছেন তিনি। অত্যাচার সহ্য করেছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন সবার সামনে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে সফল পরিণতি ঘটে এ জাতির।
দীর্ঘ সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু হয়ে গেছেন এই বাংলার অবিসংবাদিত নেতা। আজকের এই অগ্নিঝরা ৭ই মার্চে তাঁকে আমরা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। লাল সবুজের পতাকা আমাদেরকে দিয়েছেন তিনি। আজকের প্রজন্মকে এই ৭ই মার্চের ভাষণ সম্পর্কে জানতে হবে। পৃথিবীতে অনেক নেতার ভাষণ শুনেছি, অনেক নেতা গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলেছেন কিন্তু আমাদের এই মহান নেতার ভাষণের মত নয়। অলিখিত ভাষণটি আজ লিখিত বৈশ্বিক দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু বলেন, রেসকোর্স ময়দানে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ভাষণে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটেছিল। এটি একটি অকল্পনীয় বিষয়। আজকের প্রেক্ষাপটে আমরা যদি লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশ ঘটাতে চাই তাহলে যোগাযোগের মাধ্যম নিয়ে চিন্তা করতে হয়, চিঠিপত্র বিনিময় করতে হয়। কিন্তু সকল বিধি-নিষেধ থাকা সত্ত্বেও সেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশ ঘটেছিল। তার একটিই কারণ, সেটা হচ্ছে জাতির পিতাকে কেন্দ্র করেই ঘটেছিল। বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধুর গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা ছিল সেই ভাষণে। স্বাধীনতা অর্জনই ছিল ভাষণটির প্রধান উদ্দেশ্য। ভাষণটি যে স্বাধীনতার হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছিল তার প্রমাণ মিলে জনসমাগমের মাধ্যমে। যারা এই ভাষণের বা মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসকে বিকৃত করতে চায় তাদের ব্যাপারে আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া সকাল ৭ টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে নগরীর বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণটি প্রচার ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী করা হয়।
বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শফিকুর রেজা বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য, পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোঃ মোস্তাফিজার রহমান। বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সকালে সার্কিট হাউজ সংলগ্ন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সম্মআন ও পুষ্টস্তবক অর্পন করে গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র ইকরামুল হক টিটু, বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস, ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য, জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান, পুলিশ সুপার মাছুম আহমেদ ভুইয়া, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, ও সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল সহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ।