পুলিশ কনষ্টেবল হত্যায় জড়িত আসামী ফরিদ গ্রেফতার

পুলিশ কনষ্টেবল হত্যায় জড়িত আসামী ফরিদ গ্রেফতার

BMTV Desk No Comments

স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ,
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি/২৩ শনিবার দুপুরে কোতোয়ালীর বাদেকল্পা গ্রামে পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দাম হোসেন হত্যা মামলায় জড়িত আসামী ফরিদকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। আজ ৯মার্চ সকাল সাড়ে ৯টায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই(নিঃ) নিরুপম নাগ অভিযান কোতোয়ালীর বাঘেরকান্দা হতে গ্রেফতার করে । গ্রেফতারকৃত ফরিদ (২২) সদরের হাসিবাসি গ্রামের আলাল উদ্দিনের ছেলে।

কোতোয়ালী থানার ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি/২০২৩ শনিবার দুপুরে কোতোয়ালী থানার বাদেকল্পা গ্রামের আবুল হোসেনের মেহগুনি বাগান হতে পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দাম এর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উক্ত কনস্টেবল সুনামগঞ্জ জেলায় কর্মরত ছিল। তিনি গত ২৪ জানুয়ারি হতে কর্মস্থল হতে গড় হাজির ছিল। প্রাথমিকভাবে মৃতের গলায় কালচে দাগ দেখে ধারণা করা হয়েছিল তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে।

উক্ত ঘটনায় মৃত সাদ্দাম হোসেন স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার(২২), পিতা-নুরুল হক, বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার রুজু করা হয়। মামলাটি তদন্ত কালে জানা যায় যে, সাদ্দাম হোসেন প্রায় সময় চাকরির কর্মস্থল হতে গড় হাজির হয়ে বাড়িতে অবস্থান করত। ছুটিতে গড় হাজির থাকার কারনে ইতিপূর্বে বেশ কয়েকটি লঘু এবং গুরুদন্ডে দন্ডিত হয়েছেন। সাদ্দাম বিভিন্ন সময় মাদকের টাকার জন্য পিতা-মাতা সহ তার ভাই’কে বিরক্ত করতো। ঘটনার দিন ২৪ ফেব্রুয়ারি টাকার জন্য সাদ্দাম তার পিতা-মাতাকে লাঞ্চিত করে। খবর পেয়ে তার বড় ভাই মোঃ হাবিবুল করিম তপু ঢাকা থেকে বাড়িতে আসে এবং তার বন্ধু আনোয়ারকে খবর দিয়ে নিয়ে আসে। একই তারিখ রাত ১১ টায় তারা ঘটনাস্থল আবুল হোসেনের মেহগনি বাগানে পূর্বে গ্রেফতারকৃত হাবিবুল করিম তপু এবং আনোয়ার সহ গ্রেফতারকৃত আসামী ফরিদ অবস্থান নিয়ে ভিকটিম সাদ্দাম’কে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। সাদ্দাম কেন তার পিতা-মাতা’কে লাঞ্চিত করে এবং চাকরি স্থলে কেন যায় না এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সাদ্দাম এর গলায় আসামীরা রশি দিয়ে পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে গাছের সাথে আটকিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে চলে যায়।