বীরমুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের

image

You must need to login..!

Description

বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃ   গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বীরমুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। দেশপ্রেমিক এই চিকিৎসকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মল হক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম সিরাজ, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু শোক প্রকাশ করেন। শোকবাণীতে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাস্থ্যখাতে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন তারা।
শোকবাণীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। শোকবার্তায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মল হক এমপি বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ মহান মুক্তিযুদ্ধে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালে মেডিকেল টিমের চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে এবং জনস্বাস্থ্য উন্নয়নে তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
ইউরোপ সফররত তথ্যমন্ত্রী তার শোকবার্তায় একাত্তরে ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, জাতীয় ওষুধ নীতি প্রণয়ন ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র গড়ে তুলে কম খরচে দরিদ্রদের চিকিৎসা সেবায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অবদানের কথা স্মরণ করেন।

শোকবার্তায় জিএম সিরাজ বলেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরী অসীম সাহসে সাদাকে সাদা বলতেন। ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে সত্যের পথে অবিচল ছিলেন ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তাঁর মৃত্যুতে জাতি দেশ প্রেমিক এক অভিভাবক হারালো। জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশে জাতীয় ওষুধ নীতি প্রণয়ন, ওষুধ শিল্প ও স্বাস্থ্যসেবা খাতকে গণমুখী করাসহ সমাজসেবা ও মানবসেবায় বিরামহীন প্রচেষ্টা, ভূমিকা ও অবদানের জন্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আমাদের সময়ের নায়ক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর আমাদের মাঝে নেই। প্রায় ৭ ঘণ্টার সফল ডায়ালাইসিস শেষে খুশি মন নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরছিলাম। বাসায় পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যুর খবর পেলাম।

প্রধান সম্পাদকঃ
মতিউল আলম

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
মাকসুদা আক্তার