বিদ্যুৎ খাতে সরকারের দুর্নীতি ,অব্যবস্থাপনার ফলশ্রুতিতে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে এসেছে–প্রিন্স

image

You must need to login..!

Description

স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, বিদ্যুৎ খাতে সরকারের দুর্নীতি ,অব্যাবস্থাপনার ফলশ্রুতিতে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে এসেছে। কুইক রেন্টাল থেকে আদানী , সর্বত্রই লুটপাট আর দুর্নীতি – একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর মাশুল এখন জনগণকে দিতে হচ্ছে । জনগণ সরকারের ব্যার্থতা ও দুর্নীতির দায় নেবে না।
আজ দুপুরে তিনি ময়মনসিংহ নগরীর বাতির কল মোড়ে বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং এবং বিদ্যুত খাতে ব্যাপক দুর্নীতির প্রতিবাদে ময়মনসিংহ উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ।


কেন্দ্রীয় কর্মসূচী অনুযায়ী বিএনপি ময়মনসিংহ উত্তর ও দক্ষিণ জেলার নেতারা কর্মী সমর্থকদের নিয়ে সকাল ১১.৩০ মি: নগরীর হরিকিশোর রায় রোডে দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল নিয়ে বিদ্যুৎ ভবনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলে বাতির কল মোড়ে পুলিশ মিছিলকারীদের গতি রোধ করে। বাক বিতন্ডতার এক পর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা সেখানেই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা.মাহবুবুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে এবং উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার এর সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম, সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ।


অবস্থান কর্মসূচিতে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে তার আজ্ঞাবহদের রেন্টাল-কুইক রেন্টালে দিয়ে কুইক লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে কোটি কোটি টাকা তাদের হাতে তুলে দিয়েছে। সরকার আইন করে এদের দায়মুক্তিও দিয়েছে।
এসব কারণে দেশে চরম অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। অথছ বিশ্ববাজারে কয়লা,গ্যাসসহ জ্বালানী তেলের দাম কমলেও টাকার অভাবে কয়লা, এলেনজি গ্যাস,ফার্নেস ওয়েল আমদানী করতে পারছে না সরকার। যার ফলে পায়রাসহ অন্যান্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। প্রচন্ড দাবদাহে সীমাহীন লোডশেডিং এ জনজীবন নাকাল। সরকার যতই দায়মুক্তি দিক না কেনো, জনগণের অর্থ লুটপাটের জন্য সকলের বিচার হবে। তিনি তিনি গ্রাম-শহর সর্বত্র নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি ,লুটপাট বন্ধের দাবি জানান। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিকে সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৪০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় অর্থনীতি ,খরচ করার মতো টাকাও নাই সরকারের হাতে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতিতে জনগণ খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে । জীবন চালানোই দায় হয়ে গেছে।
তিনি গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণের প্রতিবাদে চলমান আন্দোলনকে সফল করতে সকলকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, অচিরেই চূড়ান্ত আন্দোলনের ডাক আসছে।
পরে নেতৃবৃন্দ হেঁটে বিদ্যুৎ ভবনে যান এবং নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে উত্তর জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে কমিটির আহ্বায়ক ডা.মাহবুবুর রহমান লিটন পৃথক পৃথক দুটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ,,উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।