You must need to login..!
Description
স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ
শিক্ষা জাতীয়করণের দাবীতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ) কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ময়মনসিংহ জেলা শাখার উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার স্থানীয় ফিরোজ জাহাঙ্গীর চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি(বিটিএ) ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি মোঃ চান মিয়া ও সঞ্চালনা করেন বিটিএ ময়মনসিংহ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির, সহ-সভাপতি শামছুন্নাহার বেগম।গত ১১, ১২,ও ১৩ জুন ৩ দিনের ধর্মঘট পালনের শেষ দিনে ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত শিক্ষকের উপস্তিতিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, অবিনাশ চন্দ্র দাম, সদস্য কেন্দ্রীয় কমিটি ও সভাপতি, ত্রিশাল উপজেলা শাখা,এনামুল হক সরকার সভাপতি, গৌরীপুর উপজেলা শাখা, মো.শরাফ উদ্দীন সভাপতি, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখা,এ কে এম সাইফুল ইসলাম কাজল সভাপতি, ফুলবাড়ীয়া উপজেলা শাখা, মো. আব্দুল জলিল সভাপতি, হালুয়াঘাট উপজেলা, মো. আজিজুল হক সদস্য কেন্দ্রীয় কমিটি সাধারণ সম্পাদক গৌরীপুর উপজেলা শাখা, আতা মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন সাংগাঠনিক সম্পাদক, ময়মনসিংহ জেলা শাখা ও সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা শাখা,মো.হারুন অর রশীদ সাধারণ সম্পাদক ত্রিশাল উপজেলা শাখা, মো. আজহারুল ইসলাম সভাপতি,ফুলপুর উপজেলা শাখা, মো. আবুল কাশেম সাস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ময়মনসিংহ জেলা শাখা, মো. নাজমুল আহসান প্রচার সম্পাদক ময়মজনসিংহ জেলা শাখা, ইসমাইল হোসেন (ধোবাউড়া) সদস্য, জেলা কমিটি, ইবনে খালিদ সহ-সভাপতি ত্রিশাল উপজেলা শাখা, সুলতান উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক সমিতি, ফকর উদ্দিন ত্রিশাল উপজেলা শাখা, গোলাম রব্বানী, মো. মাহবুবউল আলম লিটন সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ভালুকা উপজেলা শাখা প্রমুখ।
বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীগণ অবসরে যাবার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। ফলে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী টাকা পাওয়ার পূবেই অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেন। তাছাড়াও কয়েক বছর যাবৎ কোন প্রকান সুবিধা না দিয়েই অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে শিক্ষক-কর্মচারীগণের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪% কর্তন করা হচ্ছে যা অত্যন্ত অমানবিক।ইউনেস্কো ও আইএলও’র সুপারিশ অনুযায়ী শিক্ষা খাতে বাজেটের ২০% অথবা জিডিপি’র ৬% বরাদ্দের কথা থাকলেও ২০২২-২৩ অর্থ বছরে জাতীয়র বাজেটের ১১.৯২% অথবা জিডিপি’র ২% এরও কম বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে একটি যুদ্ধবিদধস্ত দেশে প্রায় ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছিলেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ২৬ হাজার বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছেন। পরিতাপের বিষয় দেশে প্রাথমিক ব্যতীত সকল স্তরে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু থাকায় একই দেশের নাগরিক হয়েও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার। তাই মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি। ##
মতিউল আলম