You must need to login..!
Description
বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃ
মাটি বাংলাদেশ ও Climate Change Network in Greater Mymensingh (CCNGM) নেটওয়ার্ক এবং CLEAN (Coastal Livelihood and Environmental Action Network) ও Bangladesh Working Group on External Debt (BWGED)-এর যৌথ উদ্যোগে আজ ২৫ জুন ২০২৩ সকাল ১০.০০ টা থেকে দুপুর ১.০০ টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ মিলনায়তনে কৃষি জমিতে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে “অ্যাগ্রোভোল্টাইক প্রযুক্তি” ব্যবহার বিষয়ক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‘সিসিএনজিএম’ নেটওয়ার্কের সম্পাদক খন্দকার ফারুক আহমেদ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ, ময়মনসিংহ। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন মো: জামিরুল ইসলাম, আঞ্চলিক পরিচালক, ইডকল, ময়মনসিংহ; মোছা. জুলেখা খাতুন, আঞ্চলিক সম্পাদক, শক্তি ফাউন্ডেশন, ময়মনসিংহ; মুনমুন রহমান, কৃষি প্রকৌশলি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ময়মনসিংহ; মো: আকরামুল ইসলাম. সহকারি প্রকৌশলী, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, ময়মনসিংহ; ফজলুর রহমান আকন্দ, সহকারি প্রকৌশলী, পিডিবি, ময়মনসিংহ; এডভোকেট শিব্বির আহমেদ লিটন, জেনারেল সেক্রেটারি পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন আন্দোলন, ময়মনসিংহ; ইন্জি. নূরুল আমিন কালাম, জেনারেল সেক্রেটারি, নাগরিক আন্দোলন, ময়মনসিংহ প্রমুখ।
সিসিএনজিএম নেটওয়ার্কের সদস্য সংস্থাসমূহের প্রতিনিধি ছাড়াও মাটি সমবায়ের কৃষাণ-কৃষাণী সদস্যবৃন্দ, কৃষি, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে কাজ করেন এমন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন। সভায় আলোচনাপত্র উপস্থাপন এবং মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন মাটি বাংলাদেশের উন্নয়ন পরিচালক কৃষিবিদ মো: শহীদুল ইসলাম।
সভায় বক্তারা বলেন বিদ্যুৎ উৎপাদনে জীবাষ্ম জ্বালানির ব্যাপক ব্যবহার বৈশ্বিক উষ্ণায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য অনেকাংশে দায়ি। এজন্য বিশ্বব্যাপি সকল দেশই নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে ঝুঁকতে বাধ্য হচ্ছে। এক্ষেত্রে বর্তমান সরকার “মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্লান (এমসিপিপি)” প্রণয়ন করে এক যুগান্তকারি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এমসিপিপিতে ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০%, ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০% এবং ২০৫০ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ১০০% নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার নিশ্চিত করণে যুগান্তকারি লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে যা অত্যন্ত সাধুবাদযোগ্য এবং অর্জনযোগ্যও বটে। খসড়া জাতীয় সৌরশক্তি মহাপরিকল্পনায় ২০৪১ সাল নাগাদ ২৫-৪০ হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করার সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির অফুরন্ত উৎস হিসেবে সৌরশক্তির ব্যবহারে বর্তমান সরকার সোলার হোম সিস্টেম,
শিল্প-কারখানায়, সেচকাজে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধিতে নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। নেট মিটারিং, গ্রামীণ মিনিগ্রিড স্থাপন এবং এগ্রোভোলটাইক প্রযুক্তির মত যুগান্তকারি পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্লানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।
এই লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে আমাদের জমির স্বল্পতাকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হয় যার সমাধান হিসবে সৌর বিদ্যুতের “অ্যাগ্রোভোল্টাইক প্রযুক্তি” বিশ্বব্যাপী দ্রুত সমাদৃত হচ্ছে। দেশে এই প্রযুক্তির দ্রুত বিস্তার সম্ভব হলে “মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্লান”-এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সহজতর হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোহিতা সংস্থা (জাইকা)-এর অর্থায়নে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব এনার্জি ইকোনমিক্স, জাপান (আইইইজে) বাংলাদেশের জন্য একটি সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি) তৈরি করেছে । এ পরিকল্পনায় ২০৫০ সাল নাগাদ ৩০.৭% জীবাশ্ম জ্বালানি (প্রধানত কয়লা ও এলএনজি), ৩২.৮% তথাকথিত ‘উন্নত প্রযুক্তি’ এবং মাত্র ১৭.১% নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের প্রস্তাব করা হয়েছে । এই অবস্থান মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক । কাজেই বক্তাগণ সমন্বিত জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনা (আইইপিএমপি) বাতিলের দাবী জানান। এ ব্যাপারে প্রধান অতিথি অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, “বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নিশ্চয় দেশবিরোধী কোন পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন না”। প্রেস বিজ্ঞপ্তি