You must need to login..!
Description
মতিউল আলম, বেএমটিভি নিউজঃ ধোবাউড়ায় ফরিদা খাতুন (৩৪) হত্যার রহস্য উৎঘাটন করেছে ময়মনসিংহ পিবিআই। পরকীয়া প্রেমের জেরে খুন হয় ফরিদা খাতুন। একই সাথে আসামী সাইদুল কর্তৃক ২টি খুনের রহস্য উৎঘাটিত হলো। গ্রেফতারকৃত সাইদুল পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে খুনের কথা স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামী সাইদুলকে গত ০১ ফেব্রুয়ারি /২০২১ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে সে ফৌঃকাঃবিঃ ১৬৪ ধারায় সে স্বেচ্ছায় আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। উদঘাটিত হয় চাঞ্চল্যকর ফরিদা খাতুন হত্যা মামলার মূল রহস্য। উল্লেখ্য তাকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সে রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু থানা এলাকায় একই কায়দায় তার তৃতীয় স্ত্রীকে হত্যার কথাও স্বীকার করেছে।
পিবিআই জানান, গত ৮জুলাই ২০২০ সন্ধ্যায় ধোবাউড়া বাজারের দর্শা রোডে জনৈক রফিকুল ইসলামের বাসা সংলগ্ন জলাশয়ে ফরিদা খাতুন (৩৪) এর লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে ধোবাউড়া থানা পুলিশ ও পিবিআই দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। উক্ত ঘটনায় গত ৬জুলাই ২০২০, ধারা-৩০২/২০১/৩৪ দঃ বিঃ ধোবাউড়া থানায় মামলা নং-০৮, রুজু হয়। থানা পুলিশ কর্তৃক তদন্তাধীন অবস্থায় পিবিআই, ময়মনসিংহ জেলা গত ২৩ আগস্ট ২০২০ স্ব-উদ্যোগে মামলাটি অধিগ্রহণ করে মামলার তদন্ত শুরু করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ দেলোয়ার হোসাইন ঘটনার পরপরই ভিকটিমের স্বামী পলাতক আসামী ছায়াদুল খান @ সাইদুলকে গ্রেফতারে একের পর এক অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে আসামী সাইদুল রাঙ্গামাটি জেলার লংদু থানা পুলিশ তাকে আটক করার খবর পেয়ে তাকে দোবাউড়ার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ৩ দিনের পুলিশ রিমান্ড আনা হয় এবং পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস এর নির্দেশনায় নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আসামী সাইদুল তার স্ত্রী ফরিদা খাতুনকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
জানা যায় ভিকটিম ফরিদা খাতুনের স্বামী একজন রাস্তা নির্মাণ শ্রমিক। সে স্ত্রী, ছেলে মেয়ে নিয়ে ধোবাউড়ার দর্শা রোডে জনৈক রফিকুল ইসলাম এর বাসায় ভাড়া থাকত। সেখানে বসবাস কালীন ভিকটিম ফরিদা খাতুন উক্ত বাসার অপর ভাড়াটিয়া জিয়াউর রহমানের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ফরিদা খাতুনের সাথে জিয়াউর রহমানের অন্তরঙ্গতার বিষয়টি ফরিদা খাতুনের স্বামী জানতে পেরে সে তাকে বাধা দেয়। ফরিদা খাতুন তার স্বামীর কথায় কর্ণপাত না করে সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকে। গত ০৭জুলাই২০২০ রাতের বেলা আসামী সাইদুল ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুন এর মধ্যে পরকীয়া প্রেমের বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে আসামী সাইদুল তার স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করে মেরে বাড়ীর পাশে থাকা গভীর জলাশয়ে ফেলে দেয়।##