ফুলবাড়ীয়ায় সহপাঠীর ছুরিকাঘাতে সহপাঠী খুন : গ্রেফতার-৪

image

You must need to login..!

Description

এনায়েতুর রহমান, ফুলবাড়ীয়া থেকে : ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় সহপাঠীর ছুরিকাঘাতে সহপাঠী খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নিহত সহপাঠীর নাম আবু সাঈদ (১৭)। সে হরেকৃষ্ণ ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭টার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
ঘটনায় সাঈদ এর পিতা আবু তাহের বাদী হয়ে ফুলবাড়ীয়া থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৭/৮জন কে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করে। হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার দায়ে পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইভটিজিং সংক্রান্ত ঘটনায় গত মঙ্গলবার সুমন ও সাইদ গংদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দাওয়া-পাল্টা দাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিষয়টি এলাকায় মিমাংসা করে। গতকাল বুধবার (২ আগস্ট) সকাল সোয়া ১০ টার দিকে দেওখোলা ইউনিয়ন হাসপাতাল রোডে একটি কোচিং সেন্টারে পড়তে আসে এ সব শিক্ষার্থীরা। এমন সময় হঠাৎ তর্কে জড়িয়ে পড়ে সাইদ ও সুমন গংরা। সুমন মিয়া হঠাৎ তার হাতে থাকা চাকু দিয়ে সহপাঠী সাঈদ (১৭) ও শ্রাবণ (১৭) কে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এদের মধ্যে সাইদের অবস্থা আশংকাজনক হলে ঐদিনই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফাড করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭ টার সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক সাঈদ কে মৃত ঘোষনা করেন।
রাতে শ্রাবণের অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফাড করে। সে আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষনে আছেন। শ্রাবণ শুভরিয়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর পুত্র। সেও হরেকৃষ্ণ ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
ফুলবাড়ীয়া থানা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডে জড়িত প্রধান আসামী কুশমাইল টেকিপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমান হবির পুত্র সুমন মিয়া ও তার সহযোগি কালীবাজাইল গ্রামের কছিম উদ্দিনের পুত্র কাউসার, সিরাজুল ইসলামের পুত্র রাব্বিল হোসেন, মোফাজ্জল হোসেনর পুত্র মোস্তাফিজুর রহমান কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমন হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে। এরা সবাই মন্ডলবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
ফুলবাড়ীয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মো. শাহীনুজ্জামান খান বলেন, ঘটনায় নিহতের পিতা আবু তাহের বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে ৭/৮ জনকে অজ্ঞাতনামা করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদের মধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। ঘটনার মুল রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।

প্রধান সম্পাদকঃ
মতিউল আলম

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
মাকসুদা আক্তার