পেনশন সংগ্রহে স্ত্রীর দেহ পাঁচ বছর ফ্রিজে রেখেছিলো স্বামী

image

You must need to login..!

Description

বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃ 

জালিয়াতি এবং মিথ্যা বলার জন্য সুইডেনের একটি আদালত ৫৭ বছর বয়সী এক নরওয়েজিয়ান ব্যক্তিকে সাড়ে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। লোকটি তার স্ত্রীর পেনশন সংগ্রহের জন্য প্রায় পাঁচ বছর ধরে একটি ফ্রিজারে স্ত্রীর দেহ সংরক্ষণ করে রেখেছিলো। আদালতে লোকটির আইনজীবী দাবি করেছিলেন, কোনও কবরস্থানে তাদের সমাধিস্থ করা হোক, এটা নাকি ওই দম্পতির কেউ চাইতেন না। তাঁদের ইচ্ছা ছিল নিজেদের খামারবাড়ির চত্বরেই তাঁদের সমাধি দেওয়া হবে। তাই লোকটি নিজের স্ত্রীর মৃত্যুর পর তাকে ফ্রিজারে রেখে দিয়েছিল। পরে তাঁকে বাইরে এক জায়গায় কবর দেবে বলে ভেবেছিল, কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। ওই ব্যক্তির ৬০বছর বয়সী স্ত্রী ২০১৮ সালে ক্যান্সারে মারা যায়। কিন্তু লোকটি তার বন্ধুদের এবং পরিবারের কাউকেই কিছু জানতে দেয়নি।

একটি ইংরেজি-ভাষার নরওয়েজিয়ান নিউজ সাইট অনুসারে, মৃতের পরিবারের লোকজন তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করতে চাইলে লোকটি তাদের জানাতো হয় সে বাড়ি নেই, নয়তো সে হয় ঘুমাচ্ছে। এক সময় সে বলেছিল, কারও সঙ্গে আর কথা বলতে চান না তার স্ত্রী। তাঁর সঙ্গে সব যোগাযোগ হারিয়ে ফেলার পর, মৃতের পরিবারবর্গের সন্দেহ হয়। ঘটনাটি তাঁরা পুলিশে জানিয়েছিলেন।পুলিশ মার্চ মাসে একটি সূত্র অনুসরণ করে ওই ব্যক্তির মৃত স্ত্রীর লাশ খুঁজে পেয়েছিল, এবং জেরার মুখে লোকটি স্বীকার করে যে সে মৃত্যুর পর স্ত্রীর দেহ লুকিয়ে রেখেছিল ফ্রিজে। শুধু তাই নয়, একই ফ্রিজারে খাবার এবং স্ত্রীর দেহ রেখে, লাগাতার সে তার স্ত্রীর পেনশন এবং ট্যাক্স ছাড়ের দাবি করে এসেছে।
দম্পতি স্টকহোম থেকে প্রায় ৩৪০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত আরজাং-এ বাস করতেন। কয়েকটি স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে,ইতিমধ্যে লোকটি স্ত্রীর পেনশন এবং ট্যাক্স রেয়াত বাবদ মোট ১.২ মিলিয়ন নরওয়েজিয়ান ক্রোনার (১ লক্ষ ১৬ হাজার ডলার) হাতিয়ে নিয়েছে। ফেডারেল আদালত অভিযুক্তকে নাগরিক স্বাধীনতার চরম লঙ্ঘন, ব্যাপক জালিয়াতি, একটি মৃতদেহ বিকৃত করা এবং নথিপত্র জাল করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে।

সূত্র : এনডিটিভি

প্রধান সম্পাদকঃ
মতিউল আলম

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
মাকসুদা আক্তার