You must need to login..!
Description
বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃ
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে নির্মাণকাজ চলাকালে ভেঙে নদে পড়েছে একটি সেতুর গার্ডার। এলাকাবাসী বলছেন, এর আগেও দুবার সেতুর বিভিন্ন অংশ ভেঙে যাওয়ার পর তা সংস্কার করা হয়েছে। কাজের শুরুতেই এভাবে বারবার ভেঙে যাওয়ায় কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
নেত্রকোনা এলজিইডি সূত্র জানিয়েছে, দুর্গাপুর উপজেলার কংস নদের ওপর গাওকান্দিয়া ইউপি-ঝানজাইল বাজার সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ১৪ মে। চুক্তি অনুযায়ী কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের ১৩ মে। প্রায় পৌনে ২০ কোটি টাকার সেতুর কাজ পায় উদয়ন বিল্ডার্স অ্যান্ড অসিম সিং নামের স্থানীয় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে নির্ধারিত সময়ের তিন বছর চলে গেলেও এখনো অর্ধেকের বেশি কাজ বাকি।স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কংস নদের ওপর গাওকান্দিয়া ইউপি-ঝানজাইল বাজার সেতুর ওপর দিয়ে গাওকান্দিয়া, ঢালুয়াকান্দা, শংকরপুর, বাধুয়া, আমিনমার্কেট, শ্রীপুর, মুন্সিপাড়া, ঝানজাইল বাজার, রামপুর, কাকৈরগড়া, জারিয়া, নাটোরকোনা, বড়বাট্টাসহ অন্তত ৩৫টি গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র পথ এটি। সেতু না থাকার কারণে এসব গ্রামের মানুষ তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। এতদিন পর সেতু হলেও কাজের মান খারাপ হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এলাকাবাসী।
‘এক এমপি কাজের উদ্বোধন করেছেন, আরেক এমপির সময় শেষ হয়েছে। কিন্তু সেতুর নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি।
স্থানীয় আনোয়ার হোসেন ও রুবেল খান বলেন, ‘এক এমপি কাজের উদ্বোধন করেছেন, আরেক এমপির সময় শেষ হয়েছে। কিন্তু সেতুর নির্মাণকাজ এখনো শেষ হয়নি। কাজ চলাকালে সেতুর একটি গার্ডার ভেঙে পড়ে গেছে। কাজের মান খুব খারাপ হয়েছে। শুধু গার্ডারই নয়, সেতুর পিলারসহ বিভিন্ন অংশও এর আগে ভেঙে পড়েছে।ঝানজাইল এলাকার রুক্কু মিয়া বলেন, ‘গার্ডারটি ভেঙে পড়ার কারণে নদে নৌকা চলাচল করতে পারে না। এরআগেও পিলারে ফাটল দেখা দেওয়ার পর তা সংস্কার করা হয়। এখনই যদি সেতুর এ অবস্থা হয় তাহলে পরে কী হবে?’ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান উদয়ন বিল্ডার্স অ্যান্ড অসিম সিংয়ের পরিচালক অসিম সিং গার্ডার ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ খোঁজ রাখছে। বলেই সংযোগ কেটে দেন।তবে ঠিকাদারের প্রতিনিধি অনিল চন্দ্র ঘোষ বলেন, কাজের সময় বাড়ানো হয়েছে। বন্যার কারণে গার্ডার ভেঙে যাওয়ায় তাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে কাজটি দ্রুত শেষ করা হবে।
নেত্রকোনা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম সেখ বলেন, বন্যার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। আগামী শুষ্ক মৌসুমে সেতুর কাজ শেষ হবে।