You must need to login..!
Description
এনায়েতুর রহমান ফুলবাড়ীয়া থেকে ঃ
ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের জোরবাড়ীয়া উত্তর পাড়া গ্রামের রিক্সা চালক খাইরুল ইসলামের প্রতিবন্ধি ছেলে সিয়াম(১২)। বাবা নিজ হাতে খাইয়ে দেয় সিয়ামকে। বাবার হাত ছাডা খাইনা তার প্রতিবন্ধি ছেলে সিয়াম। কাক ডাকা ভোরে ছেলেকে খাইয়ে পিতা খাইরুল রিক্সা নিয়ে বের হয় সময় সুযোগ পেলে ছেলের খবর নিতে যায়, না হলে আবার বিকাল বেলা এসে ছেলেকে নিজ হাতে খাওয়ানো হয়।
স্বাস্থ্য সহকারী শাকিল চৌধুরী বলেন, আমি সকাল বেলা খাইরুলের বাড়ীতে গিয়ে দেখি সিয়াম প্রস্রাব পায়খানা করে কাপড় নষ্ট করে ফেলেছে। দিনে দুই তিন বার কাপড় নষ্ট করে সে পরিষ্কার করার কাজে ব্যস্ত বাবা। মায়ের কোলে ৩ মাসের এক শিশু সন্তান। সাভার প্রতিবন্ধি হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেন অনেক দেরি করে ফেলেছেন বলে জানান খাইরুলকে। তিন ভাই বোনের মধ্যে সিয়াম সবার বড়। দীর্ঘ ১২ বছর এভাবেই দিন কাটছে তার। টাকার অভাবে হয়ত চিকিৎসার জন্য খাইরুলের ঢাকা যাওয়া সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে অভাবের সংসারে তার একমাত্র উপার্জন পথ রিক্সা টি রেখে মসজিদে নামাজ পড়ে এসে দেখে চুরি হয়ে গেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সকলের সার্বিক সহযোগিতায় একটি রিস্কা কিনে দেয় ফুলবাড়ীয়া হেল্পলাইনের উদ্যোগে। প্রতিবন্ধি ছেলের জন্য একটি হুইল চেয়ারের কথা বলেন আমার কাছে।
ফুলবাড়ীয়া হেল্পলাইনে পোস্ট দেওয়ার পর ময়মনসিংহ প্রান্ত স্পেশালাইড হাসপাতালের কর্ণধার চন্দন এর সহধর্মিনী বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ভবানীপুর গ্রামের মেয়ে ও ফুলবাড়ীয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান পুলিশের এএসপি সার্বিক সহযোগীতায় হুইল চেয়াারের ব্যবস্থা হয়েছে, প্রতিবন্ধি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় আজ।
প্রতিবন্ধি সিয়ামের পিতা খাইরুল ইসলাম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার সন্তানের ও আমার পরিবারের পাশে দাড়িঁয়েছেন আমি তাদের ঋন কোনদিন শেষ করতে পারবোনা। সৃষ্টিকর্তা আপনাদের প্রতি কৃতার্থ হবেন।