You must need to login..!
Description
স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ
সংসদ ভেঙে দিয়ে সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির লক্ষ্যে এক দফা দাবিতে আগামী ১ অক্টোবর ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ পর্যন্ত এই রোডমার্চ করবে ময়মনসিংহ বিভাগীয় বিএনপি। রোডমার্চ সফল করতে মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর হরিকিশোর রায় রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ রোডমার্চ বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রোডমার্চের মাধ্যমে কেউ নির্বাচনী প্রচারণা করলে দল ব্যবস্থা নেবে বলে নেতাকর্মীদের সতর্ক করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, রোডমার্চে নিজের চেহারা না দেখিয়ে জনগণের চেহারা দেখান। মনে রাখতে হবে নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই বিএনপির। তাই রোডমার্চে নির্বাচনী প্রচারণা করা যাবে না। কেউ যদি অমুক আসন বা তমুক আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী লিখে প্রচারণা করেন তবে বিষয়টি সন্দেহের চোখে দেখা হবে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সংসদ ভেঙে দিয়ে সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির লক্ষ্যে এক দফা দাবিতে আগামী ১ অক্টোবর ময়মনসিংহ থেকে কিশোরগঞ্জ পর্যন্ত এই রোডমার্চ করবে ময়মনসিংহ বিভাগীয় বিএনপি।নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকারের প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে বন্দি। তাকে মুক্ত এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে সারাদেশে বিএনপি রোডমার্চ করছে। এতে সাধারণ মানুষের সমর্থন রয়েছে, এটাকে কাজে লাগাতে হবে। এই রোডমার্চ আগামী দিনে বৃহত্তর কোনো আন্দোলনের প্রস্তুতি হিসেবে হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, কোনো আন্দোলন বৃথা যায় না। এই রোডমার্চ আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলন সফল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় রোডমার্চের দলনেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কেউ যদি ঘরে বসে থাকে, কর্মসূচিতে না যায় তাহলে সে তার বিবেকের সঙ্গে যুদ্ধ করবে এবং দলের সঙ্গে যুদ্ধ করবে। কর্মসূচিতে না গিয়ে এখন ঘরে বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই।আলাল বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের সঙ্গে, দেশের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। গণতন্ত্র, মানবাধিকারের ছিটেফোঁটাও এরা রাখেনি। সুতরাং দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য এদের বিদায় করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, সরকারের প্রতিহিংসার কারণে বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে বন্দি। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন। এই অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। তাই সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদেরকে রোডমার্চ সফল করতে সুশৃঙ্খখলভাবে আগ্রহী ভূামকা পালন করতে হবে।
সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ রাশিদুজ্জামান মিল্লাত বলেন, তারুণ্যের সমাবেশে আন্দোলনের নতুন জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। চলমান রোডমার্চেও আমরা এর চেয়ে আরও বেশি কিছু করতে চাই।
সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আব্দুল বারী ড্যানী, যুবদলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক রয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান বিপ্লব, কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ মনিরুজ্জামান, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিবসহ ময়মনসিংহ, শেরপুর, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের র্শীষ নেতৃবৃন্দ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মাহাবুবুর রহমান লিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু, জেলা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।