You must need to login..!
Description
বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃ
স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চলাচল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার কিছু সময় আগে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান। এর আগে তিনি সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেন। এরপর তার টিকিট কেটে মাওয়া থেকে ট্রেনে করে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় যাওয়ার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ট্রেনযাত্রার সুযোগ পাবেন ৩৮৬ অতিথি। দুপুর ১টায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশন পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে বিকেলে ভাঙ্গার কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামের জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
মাওয়া রেল স্টেশন প্রাঙ্গণে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আপনাদের আহ্বান করছি, এক ইঞ্চি জমিও যেন খালি না থাকে। আপনারা প্রতিটি জমিতে আবাদ করুন। সারের দাম আমরা কমিয়েছি। ভর্তুকি দিয়েছি।কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। কারও কোনো সমস্যা হলে আওয়ামী লীগের নেতারা তাদের পাশে দাঁড়ান। এভাবে আমরা মানুষের উন্নয়ন করছি।
দেশের জনগণের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা এদেশের মানুষের উন্নয়নে মনোযোগী ছিল না। একমাত্র আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় আসার পর এদেশের মানুষের উন্নয়ন করেছে। কারও কাছে হাত পেতে নয়, কারও কাছে মাথা নিচু করে নয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে সবাই তার আদর্শে মাথা উঁচু করে বাঁচবো সবাই।
ড. ইউনূসকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক ভদ্রলোক, বিশ্বখ্যাতিও পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সামান্য একটা ব্যাংকের এমডি পদে থাকতে পারবে না বয়সের কারণে- সেটা বলার জন্য পদ্মা সেতুর অর্থায়ন বন্ধ করেছিলেন। তখন বলেছিলাম- নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু গড়বো। জাতির পিতা বলেছিলেন, বাঙালিকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। আমরা করে দেখিয়েছি।’
দীর্ঘ ছয় বছর পর ভাঙ্গায় যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। তাকে বরণে জনসভাস্থলে সকাল থেকেই নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ আসতে শুরু করেছেন। প্লেকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে বাদ্যযন্ত্র সহকারে জনসভাস্থল ডা.কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে আসছেন নেতাকর্মীরা।