You must need to login..!
Description
মতিউল আলম, বিএমটিভি নিউজঃ
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, আন্দোলন ও দেশী বিদেশী চাপে সরকারের মাথা নষ্ট হয়ে বেশামাল আচরণ ও পাগলের প্রলাপ বকছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন,তলে তলে সমঝোতা হয় না,ষড়যন্ত্র হয়। বিদেশীদের সাথে গিভ এন্ড টেক করে আপোষ করতে গিয়ে তারা ব্যর্থ হয়ে এখন সন্ত্রাসের ভাষায় উস্কানীমূলক ভাষন দিচ্ছে ।তিনি বলেন, তত্বাবধায়ক সরকার মোটেই মৃত নয় ,জীবন্ত ইস্যু। আওয়ামী লীগ তত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুকে যতই চাপা দেয়ার চেষ্টা করুক না কেনো, তা জেগে উঠবেই। তাদের ভোট চুরির কারণেই জনগণের মধ্য থেকে তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি উঠেছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে দেশব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আজ ময়মনসিংহে অনশন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ।ময়মনসিংহ মহানগরের নতুন বাজারে হরি কিশোর রায় রোডে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা সড়কে বসে সকাল ১০ টা থেকে ৪ ঘন্টার অনশনে অংশ নেন। অনশন কর্মসূচি এক পর্যায়ে বিশাল সমাবেশে পরিণত হয়।
অনশন কর্মসূচিতে তিনি অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের দাবি জানিয়ে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে জনগণ ক্ষমা করবে না। সরকার ও প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বাচতে দিতে চায় না।তারা বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিকে ভয় পায়। রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে তারা বেগম জিয়ার সুচিকিৎসার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃস্টি করে তাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে চায়। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে দায় দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে ।তিনি বলেন ,এক দফার আন্দোলন চূড়ান্ত পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ১৮ অক্টোবর ঢাকায় জনসমাবেশ থেকে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষিত হবে। চূড়ান্ত আন্দোলনে যখন যে কর্মসূচি আসবে জীবন বাজি রেখে হলেও তা সফল করতে হবে। এবার দেশ, জনগণ, গণতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত হবে ইনশাআল্লাহ ।
ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা.মাহবুবুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে ও উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলীর সঞ্চালনায় অনশন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান, গণ ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা সভাপতি এড. এ কে এম রায়হান উদ্দিন,জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড.নুরুল হক, পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষে অধ্যাপক ফজলুল হক ভূইয়া,এড.আনোয়ারুল আজিজ টুটুল।
অনশন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ শহীদ সরোয়ার,,ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম ,উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম,,সাবেক এমপি শাহ নূরুল কবীর শাহীন, বিএনপির বৈদেশিক কমিটির সদস্য ইয়াসের খান চৌধুরী ,ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু,মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ, কাজী রানা ,শাহ্ শিব্বির আহমেদ বুলু,এড.এম এ হান্নান খান, শামীম আজাদ,মাহবুবুল আলম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আখতারুল আলম ফারুক,ডা.মোাখ্খারুল ইসলাম রানা,উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য হাফেজ আজিজুল হক, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি রোকনুজ্জামান সরকার রোকন,সাধারণ সম্পাদক এড.দিদারুল ইসলাম,মহানগর যুব দলের সভাপতি মোজাম্মেল হক টুটু,সাধারণ সম্পাদক জোবায়েদ হোসেন শাকিল, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম কামাল,সদস্য সচিব মহিবুল হক টুটুল, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ সাদমান ডুনন,মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তাননভীর আহমেদ রবিন, দক্ষিণ জেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক ফরিদা ইয়াসমিন পারভীন, মহানগর মহিলা দলের আহ্বায়ক খালেদা আতিক, উত্তর জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক হোসনে আরা নীলু , দক্ষিণ জেলা ওলামা দলের আহ্বায়ক ক্বারী এখলাস উদ্দিন বক্তব্য রাখেন ।
পরে বীরমুক্তিযোদ্ধা ইসলাম উদ্দিন ও কাজিম উদ্দিন অনশনরত নেতাকর্মীদের পানি পান করিয়ে অনশম ভঙ্গ করান।