You must need to login..!
Description
বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃ
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের স্মরণে আগামীকাল একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে বাংলাদেশ। সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গতকাল এক প্রজ্ঞাপনে এ শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
এতে বলা হয়, সরকার এ মর্মে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে গাজাসহ ফিলিস্তিনের অন্যান্য স্থানে ইসরায়েলি বাহিনীর সাম্প্রতিক হামলায় ফিলিস্তিনি নাগরিকদের মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হবে। আগামীকাল বাংলাদেশের সব সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোয় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
শোক পালন ছাড়াও আজ জুমার নামাজের পর নিহতদের আত্মার শান্তি ও আহতদের সুস্থতার জন্য বাংলাদেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
এর আগে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ভবনে আয়োজিত ১৫০ সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শোক পালনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘শনিবার ফিলিস্তিনের জন্য আমাদের শোক দিবস ঘোষণা করেছি। সেদিন আমাদের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইসরায়েল যেভাবে হাসপাতালে হামলা করে নারী-শিশুদের হত্যা করেছে, আমরা এটার নিন্দা জানিয়েছি। দ্রুত এটা বন্ধ করতে হবে। ফিলিস্তিনিরা যেন ন্যায্য জায়গা ফেরত পায়। আমি অনুরোধ করব, আজ জুমার পর সারা বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মসজিদে যেন দোয়া ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রার্থনা করা হয়।’
৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের পর থেকে গাজায় পাল্টা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় ৩ হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় গাজায় তীব্র মানবিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ১৭ অক্টোবর গাজার একটি হাসপাতালে হামলায় শিশু ও নারীসহ পাঁচ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ফিলিস্তিনের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ।
গণভবনে গত বুধবার রাতে মুসলিম দেশগুলোর জোট ওআইসিভুক্ত ১৪টি দেশের রাষ্ট্রদূতরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করলে সেখানে ফিলিস্তিনের পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান, ফিলিস্তিনের হাসপাতালে যে অ্যাটাক করেছে, সেখানে বহু শিশু ও নারী মারা গেছে। সে সম্পর্কে তারা (১৪ দেশের রাষ্ট্রদূতরা) তাদের বক্তব্য তুলে ধরছেন। ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে বাংলাদেশের যে সমর্থন আছে, সেই সমর্থন যাতে অব্যাহত থাকে, অন্যান্য যে আন্তর্জাতিক সমর্থন আছে সেগুলোর আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তারা।
এদিকে ফিলিস্তিনের হাসপাতালে ইসরায়েলের বোমা হামলায় হতাহতদের চিকিৎসাসেবা ও জরুরি ওষুধসামগ্রী পাঠাতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেককে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের জনগণের কষ্ট বোঝেন। ইসরায়েলের হামলায় হতাহত নারী-শিশুদের বেদনা অনুভব করছেন তিনি তার নিজের জীবনের হতাহতের ক্ষত থেকে। এজন্যই বিশ্ব পরাশক্তির রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেও তিনি ফিলিস্তিনের নিরীহ অসহায় মানুষের জন্য কথা বলছেন। তাদের চিকিৎসা সহায়তায় তিনি হাত বাড়িয়ে দিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন।