স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ
ময়মনসিংহ জেলার ১১টি সংসদীয় আসনে ১৯ প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। রোববার (১৭ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয়ভাবে দুই আসনে আওয়ামী লীগ ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে আরও ১৭ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এর মধ্যে জাকের পার্টির ৭ জন, জাসদের ৬ জন, তরিকত ফেডারেশনের একজন ও ৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন। ফলে নির্বাচনে ১১টি আসনে ৬৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার সফিকুল ইসলাম।

ভোটযুদ্ধে যারা লড়বেন
ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) আসনে জুয়েল আরেং (আওয়ামী লীগ), স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুল হক সায়েম (আওয়ামী লীগ নেতা ও সদ্য পদত্যাগ করা উপজেলা চেয়ারম্যান), অ্যাডভোকেট কাজল চন্দ্র মহন্ত (জাতীয় পার্টি), মার্শেল মালেশ চিরান (তৃণমূল বিএনপি), মাহবুবুর রহমান (ইসলামী ঐক্যজোট), মোখলেছুর রহমান (মুসলিম লীগ), রোকেয়া বেগম (মুক্তজোট)।

ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর-তারাকান্দা) আসনে শরীফ আহমেদ (আওয়ামী লীগ), শাহ্ শহীদ সারোয়ার (স্বতন্ত্র-বিএনপির সাবেক এমপি), এনায়েত হোসেন মন্ডল (জাতীয় পার্টি), মুহাম্মদ তৈয়োব হোসাইন (ইসলামী ঐক্যজোট), শেখ আলাউদ্দিন (জেপি), কামরুল হাসান (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ), তোফাজ্জল হোসেন (মুক্তজোট)।

ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে অ্যাডভোকেট নিলুফার আনজুম পপি (আওয়ামী লীগ), স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজনীন আলম (জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা), শরীফ হাসান অনু (জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক), সোমনাথ সাহা (উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক), রমিজ উদ্দিন (আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক), মুর্শেদুজ্জামান সেলিম (জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য), ডা. মোস্তাফিজুর রহমান (জাতীয় পার্টি), শফিউল ইসলাম (এনপিপি), শফিউল ইসলাম (ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি)।

ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে মোহিত উর রহমান শান্ত (আওয়ামী লীগ), আমিনুল হক শামীম (স্বতন্ত্র-জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি), দেলোয়ার হোসেন খান দুলু (স্বতন্ত্র- বিএনপির সাবেক এমপি), আবু মো. মুসা সরকার (জাতীয় পার্টি), পরেশ চন্দ্র মোদক (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ), সেলিম খান (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি), হামিদুল ইসলাম (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), দীপক চন্দ্র গুপ্ত (তৃণমূল বিএনপি), বিশ্বজিৎ ভাদুড়ি (তরিকত ফেডারেশন), আব্দুল মান্নান (বাংলাদেশ কংগ্রেস)। ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি (জাতীয় পার্টি), সামান মিয়া (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি), রফিকুল ইসলাম রবি (বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টি), শাহিনুর আলম (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ), আজাহারুল ইসলাম (জাকের পার্টি)।

ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে মোসলেম উদ্দিন (আওয়ামী লীগ), তার মেয়ে সেলিমা বেগম সালমা (স্বতন্ত্র), আব্দুল মালেক সরকার (স্বতন্ত্র- সদ্য পদত্যাগী উপজেলা চেয়ারম্যান), মাহফিজুর রহমান বাবুল (জাতীয় পার্টি), খন্দকার রফিকুল ইসলাম (স্বতন্ত্র-জাপার বিদ্রোহী), আব্দুর রশিদ (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ)।
ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল আসনে) রুহুল আমিন মাদানী (আওয়ামী লীগ), এবি এম আনিসুজ্জামান আনিস (স্বতন্ত্র- জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও পদত্যাগী পৌর মেয়র), আব্দুল মজিদ (জাতীয় পার্টি), ড. আব্দুল মালেক ফরাজি (তৃণমূল বিএনপি), বাদশাদ দেওয়ান (মুক্তিজোট)।

ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে ফখরুল ইমাম (জাতীয় পার্টি), মাহমুদ হাসান সুমন (স্বতন্ত্র-পদত্যাগী উপজেলা চেয়ারম্যান), কানিজ ফাতেমা (স্বতন্ত্র-সুমনের স্ত্রী), বদরুল আলম প্রদীপ (স্বতন্ত্র-সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান), আব্দুল্লাহ আল মামুন (ন্যাশনাল পিপলস পার্টি)।
ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনে আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিন এমপি (স্বতন্ত্র প্রার্থী), হাসমত মাহমুদ (জাতীয় পার্টি), আবু জুনাঈদ (তৃণমূল বিএনপি), গিয়াস উদ্দিন (জাসদ)।

ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনে ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল (আওয়ামী লীগ), নাজমুল হক (জাতীয় পার্টি), দ্বীন ইসলাম (গণফ্রন্ট)।
ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু (আওয়ামী লীগ), এমএ ওয়াহেদ (স্বতন্ত্র- জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি), গোলাম মোস্তফা (স্বতন্ত্র-উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক), হাফিজ উদ্দিন (জাতীয় পার্টি), নাসির হোসেন (তৃণমূল বিএনপি), মজিবুর রহমান (ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি), এবিএম জিয়া উদ্দিন (বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি)।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আজ প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা আজ ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত চলবে। ভোটগ্রহণ আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি (রোববার) অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে।

মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন যারা
ময়মনসিংহ-২ (ফুলপুর) আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) প্রার্থী অ্যাডভোকেট এস.এম শিব্বির আহমেদ লিটন ও জাকের পার্টির সঞ্জিত সাহা। ময়মনসিংহ-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান এমপি নাজিম উদ্দিন আহমেদ, ডা. মতিউর রহমান ও তরিকত ফেডারেশনের বিশ্বজিৎ ভাদুড়ী।
ময়নসসিংহ-৪ (সদর) আসনে জাসদের প্রার্থী অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু ও জাকের পার্টির কামাল উদ্দিন। ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আবদুল হাই আকন্দ ও জাসদের প্রার্থী মো. শামছুল আলম খান। ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে জাসদের প্রার্থী সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু ও জাকের পার্টির এসএম দেলোয়ার হোসেন।

ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে জাতীয় জাসদের রতন কুমার সরকার, জাকের পার্টির মো. জুয়েল রানা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক। ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মো. আবদুছ ছাত্তার, ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনে জাকের পার্টির মো. শফিকুল আলম, ময়মনসিংহ-১০ (গফরগাঁও) আসনে জাকের পার্টির মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন খান ও ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে জাসদের প্রার্থী মো. সাদিক হোসেন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
ময়মনসিংহের ১১টি সংসদীয় আসনে ১০৬ জন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও যাচাই-বাছাইয়ে ২৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করলে আরও ৫ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়। বৈধ প্রার্থী নান্দাইলের দলীয় প্রার্থী মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালামের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর আপিলে প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। ফলে ৮৬ জন প্রার্থী শেষ পর্যন্ত ছিল। এর মধ্যে ১৯ জন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় নির্বাচনে ১১টি আসনে ৬৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।