রণক্ষেত্র কিশোরগঞ্জ, আওয়ামী লীগ কার্যালয়সহ নেতাদের বাসায় আগুন, নিহত ৪

image

You must need to login..!

Description

  বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃ  

কিশোরগঞ্জে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ত্রিমুখী এই সংঘর্ষকে ঘিরে জেলা শহর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর, শহরের পুরানথানা ট্রাফিক পুলিশ বক্স ভাঙচুর এবং জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর বাসভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। থানায় হামলা ও ভাঙচুরের চেষ্টা হয়েছে। একাধিক মোটর সাইকেল ও গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে।

রোববার জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে এসব হামলা, অগ্নিসংযোগ, সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় অঞ্জনা বেগম (৩৫) নামে একজন নারীসহ অন্তত চারজন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে নারীসহ দুজন দগ্ধ হয়ে এবং একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের নাম মবিন (৩৫) এবং দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া আরেকজনের পরিচয় প্রাথমিকভাবে পাওয়া যায়নি । এছাড়া রুবেল আব্দুল্লাহ (৩২) নামে এক যুবক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। অন্যদিকে এসব ঘটনায় অন্তত দুই শতাধিক আহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

তাদের মধ্যে পুলিশ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও আন্দোলনকারীরা রয়েছেন। এদিকে নিহতদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্মসাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর বাসভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের সময় দুইজন দগ্ধ হয়ে মারা গেছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে। এই দুইজনের একজন অঞ্জনা বেগম। তিনি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল গ্রামের আলম মিয়ার স্ত্রী। অন্যদিকে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় শহরের শহীদী মসজিদ এলাকায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রুবেল আব্দুল্লাহ নামে এক যুবক মারা গেছেন বলে জানা গেছে। তিনি জেলার তাড়াইল উপজেলার তালজাঙ্গা ইউনিয়নের চরতালজাঙ্গা গ্রামের আজহারুল ইসলামের ছেলে। রুবেল আব্দুল্লাহর বোন সুমাইয়া বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। অন্যদিকে নিহত মবিন কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার কর্শাকড়িয়াইলের বাসিন্দা। তিনি যুবলীগ নেতা বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছেন।

প্রধান সম্পাদকঃ
মতিউল আলম

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
মাকসুদা আক্তার