You must need to login..!
Description
এনায়েতুর রহমান,বিএমটিভি নিউজঃ
ময়মনসিংহ রেলওয়ের উচ্ছেদ অভিযানে সময় বিক্ষুব্ধ জনতার হামলা, ভাঙচুর ও বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর স্টেশন রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার অভিযান চলাকালে রেলওয়ে স্টেশন জামে মসজিদের সামনের অংশসহ বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুরের সময় এ উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে সেনাবাহিনীর এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর স্টেশন রোড এলাকায় পূর্ব ঘোষণা দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। অভিযানের শুরুতে রেলওয়ে স্টেশন জামে মসজিদের সামনের অংশ ভাঙা শুরু করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনতা উচ্ছেদকারীদের ধাওয়া দিয়ে ভেকু মেশিন ভাঙচুর করে। বিক্ষুব্ধ জনতার ধাওয়া খেয়ে পাশের একটি মার্কেটে আশ্রয় নেন রেলওয়ের ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা মো. আব্দুস সোবহানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি শান্ত করে মসজিদের জায়গায় হাত দেওয়া হবে না বলে বিক্ষুব্ধ জনতাকে নিশ্চয়তা দিয়ে ভেকু মেশিন সরিয়ে নেন। পরবর্তীতে সেনা পাহারায় কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি কর্মকতা মোঃ আব্দুস সোবহান নেতৃত্ব স্টেশনে অবৈধভাবে দখল করে রাখা স্থাপনাগুলো উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন। অভিযানের শুরুতেই রেলওয়ে জামে মসজিদের সামনের অংশে কয়েকটি দোকান ভাঙা শুরু করলে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে স্থানীয় জনতা।পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কোনমতে নিরাপদ স্থানে সরে যান কর্মকর্তারা।
বিক্ষুপ্ত জনতা ট্রাফিক মোড়ে সামনে এসেও স্লোগান দিতে থাকে। এভাবে চলে প্রায় ঘন্টাখানেক, এরপর সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। আলোচনা হয় মসজিদের ইমামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে। মসজিদের কোন অংশ ভাঙ্গা হবে না এমন নিশ্চয়তার পর পরিস্থিতি অনেকাটাই নিয়ন্ত্রণে আসে।
রেলওয়ে জংশন স্টেশন গেইটের আশপাশের হোটেল, রেস্তোরাঁ, চা দোকানসহ অন্তত প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার কথা রয়েছে। তবে অনেকে গতকালের নোটিশে ভোর থেকেই যার যার স্থাপনা নিজ উদ্যোগে ভেঙ্গে সরিয়ে ফেলতে দেখা গেছে। জায়গা দখল করে ব্যবসা করে আসা ক্ষুদ্র মাঝারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা একসময় রেলওয়ের জায়গা লিজ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসলেও পরবর্তীতে রেলওয়ের সিন্ধান্তে সেই লিজ বাতিল হলে পরে আর লিজ দেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে তাদের পুনর্সবানেরও দাবি করেন তারা।
সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জানা যায় রেলওয়ে জংশন স্টেশনসহ আশেপাশের অঞ্চল মিলিয়ে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ একর জায়গা অবৈধ দখলদারদের হাতে রয়েছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ রেলওয়ের ভূমি সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুস সোবহানের উপস্থিতিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল ইমরানের নেতৃত্বে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে অবৈধ স্থাপনা ও দখলদার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে সেনাবাহিনীর একটি টহল টিম উপস্থিত হয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রেলের জমি অবৈধভাবে দখল নিয়ে দৈনিক মানবজমিন ১০/১৫ দিন আগে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, জনতার বাধা ও ধাওয়ায় পণ্ড হয়ে গেছে ময়মনসিংহ রেলওয়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান। সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।##
মতিউল আলম