বিএনপির ৩০ হাজার নেতাকর্মী আটক করে গোটা দেশকেই কারাগারে পরিণত ছিল হাসিনা- প্রিন্স

image

You must need to login..!

Description

স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, ফ্যসিস্ট হাসিনা বিএনপির ৩০ হাজার নেতাকর্মী আটক করে গোটা দেশকেই কারাগারে পরিণত এবং আমি-ডামি মার্কা নির্বাচনের নামে চরম প্রহসন করে নিজের পতনের প্রেক্ষাপট নিজেই রচনা করেছিলেন। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, আজ আমরা কারাগার থেকে মুক্ত, তবে জনতার তাড়া খেয়ে শেখ হাসিনা ও তার দোসররা প্রভুর দেশে আশ্রিত, বাটি চালান দিয়েও দেশে তাদের লোকদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
এমরান সালেহ প্রিন্স আজ বিকেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে তার প্রথম কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে গণমিছিল পূর্ব গণ জমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। । উল্লেখ্য ,ফ্যসিবাদী হাসিনা সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনের দাবীতে আন্দোলনকালীন সময়ে গত বছর ২০২৩ সালের ৩ নভেম্বর এমরান সালেহ প্রিন্সকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ।
হালুয়াঘাট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত গণ জমায়েতে সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আসলাম মিয়া বাবুল, সঞ্চালনা করেন আবু হাসনাত বদরুল কবির।বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আরফান আলী, বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আমজাদ আলী আশরাফ, আলমগীর আলম বিপ্লব, বিএনপি নেতা অধ্যাপক মেহেবুবুর রহমান মুকুল, আব্দুল হাই, মিজানুর রহমান মিজান,কাজী ফরিদ আহমেদ পলাশ, মোনায়েম হোসেন খান খোকন,শফিকুর রহমান, রমজান আলী , পরান আলী কাঞ্চু, আব্দুস সাত্তার, সায়েদুর রহমান, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি শামসুল হক, সহ সভাপতি আবদুল আজিজ খান , তারিকুল ইসলাম চঞ্চল , উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রুহুল আমীন খান, সদস্য সচিব আলিমুল ইসলাম, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান দুলাল, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসিফ, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল হান্নান, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আবদুল গণি, সাধারণ সম্পাদক মশিউজ্জামান , উপজেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক আকিকুল ইসলাম, সদস্য সচিব আলী আজগর,মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন, উপজেলা জাসাসের যুগ্ম তারিকুল আশরাফি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন । গণ জমায়েতের পর এমরান সালেহ প্রিন্স এর নেতৃত্বে তার কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে ফ্যসিস্ট হাসিনার বিচার ও দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে বিশাল গণমিছিল হালুয়াঘাটের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে হালুয়াঘাট নতুন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।

গণ জমায়েতে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনাই একমাত্র সরকার প্রধান, যিনি ক্ষমতা ত্যাগের পর পালিয়ে গেছেন। এমনকি স্বৈরাচার এরশাদও ক্ষমতাচ্যুত হয়ে কারাবাসকেই বেছে নিয়েছিলেন, পালিয়ে দেশত্যাগ করেন নাই। শেখ হাসিনা হত্যা, গুম, দুর্ণীতি, লুটপাটসহ এতই অপকর্ম করেছেন, যাতে তিনি গণ শত্রুতে পরিণত হয়েছেন,সে কারণেই পালিয়ে প্রভূর দেশে আশ্রয় নেয়াকেই শ্রেয়ঃ মনে করেছেন।প্রভূর দেশও তাকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশে তাদের আধিপত্যবাদ কায়েমের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গণতন্ত্র ,মানবাধিকার কেড়ে বিএনপিসহ জনসাধারণের ওপর নির্দয়, নির্মম দমন-নিপীড়ন চালিয়ে চরম ফ্যসিবাদ কায়েম করে গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে । ফ্যসিবাদ নির্মূলের স্বার্থেই শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের দ্রুত বিচারের পাশাপাশি অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে ফ্যসিস্ট হাসিনার কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসনের জবাব দিতে হবে ।
ধোবাউড়া বাজারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, পতিত ফ্যসিস্ট হাসিনা তার বিদেশী প্রভূদের সহযোগিতায় ছাত্র গণবিপ্লবের বিজয় নস্যাতে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে । যত সময় যাচ্ছে ,তাদের ষড়যন্ত্র ডালপালা মেলে চলেছে। তিনি বলেন, পতিত ফ্যসিবাদী ও আধিপত্যবাদী শক্তির ষড়যন্ত্র নস্যাত করতে নন ইস্যুকে ইস্যু না করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষে দ্রুত নির্বাচন প্রয়োজন।তিনি বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষে প্রয়োজনীয় সংস্কার , নিরপেক্ষ নির্বাচন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অগ্রাধিকার হওয়া উচিৎ।সংস্কার,নির্বাচন অযথা বিলম্ব করার কারণে কোনো ক্ষতি হলে দায় বিএনপি নেবে না। তিনি বলেন,রাজনৈতিক দল, জনগণকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্রের সংস্কার বা নির্বাচন সম্ভব নয়। রাষ্ট্রের টেকসই সংস্কারে রাজনৈতিক দল ও জনগণের নিবিড় সম্পৃক্ততা অপরিহার্য ।

এর আগে আজ সকালে এমরান সালেহ প্রিন্স তার কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিচার ও দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ধোবাউড়া বাজারে গণসমাবেশে যোগ দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও সাম্য,মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্ম উৎসর্গ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

প্রধান সম্পাদকঃ
মতিউল আলম

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ
মাকসুদা আক্তার