You must need to login..!
Description
স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ , পছাত্তরের সাত নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লব ,নব্বইয়ের স্বৈরাচার পতনের গণ অভ্যূত্থান এবং সাম্প্রতিক ফ্যসিবাদ পতনের ছাত্র-গণ বিপ্লবের চেতনা-আকাঙ্খা একই সূত্রে গাঁথা।এক ও অভিন্ন। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব,গণতন্ত্র রক্ষা এবং দেশের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে জনগণের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সাত নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লব মাইল ফলক হয়ে থাকবে।
তিনি আজ ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখছিলেন । ধোবাউড়া উপজেলা মোড়ে অনুষ্ঠিত গণ মিছিল পূর্ব সমাবেশে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আওয়ামী লীগ ও আধিপত্যবাদী আগ্রাসী শক্তি ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসকে ভয় পায়। তাদের রাষ্ট্রঘাতি কর্মকাণ্ডের কারণেই পচাত্তরের সাত নভেম্বর সিপাহী জনতার সম্মিলিত বিপ্লব সাধিত হয়েছিলো। ঠিক একই কারণে এবছর ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্যদিয়ে আওয়ামী ফ্যসিবাদ ও আধিপত্যবাদের পতন হয়েছে ।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগের কায়েম করা ফ্যসিবাদের পরিবর্তে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রুপান্তরে ৭ নভেম্বর সিপাহী জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র কাঠামোতে যুগান্তকারী সংস্কার সাধিত হয়েছিলো। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সূচিত সেসকল সংস্কারের সুফল জাতি পাচ্ছে।তিনি বলেন, একদলীয় বাকশালী শাসনের পরিবর্তে বহুদলীয় রাজনীতি ও গণতন্ত্র , নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতির পরিবর্তে মুক্তবাজার অর্থনীতি, বাক-ব্যক্তি-সংবাদপত্র ও সংগঠন করার স্বাধীনতা, আইনের শাসন, স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি সাত নভেম্বরের বিপ্লবের অবদান।
সাত নভেম্বর পরবর্তী শহীদ জিয়ার বহুদলীয় গণতন্ত্রের হাত ধরেই বাকশালের কফিন থেকে বের হয়ে আওয়ামী লীগ স্বনামে রাজনীতিতে এসেছিলো। শহীদ জিয়া সেই সুযোগ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ একদলীয় বাকশালী ধ্যান ধারণা এবং আধিপত্যবাদী শক্তি থেকে বের হতে পারে নাই। তারা যখনই সূযোগ পেয়েছে,তখনই আধিপত্যবাদের ইজারাদার হয়ে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়েছে, গণতন্ত্র হত্যা করেছে, জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে আধিপত্যবাদের বিস্তার ঘটিয়ে জনগণকে গোলামে পরিণত করতে চেয়েছে।ছাত্র জনতার গণ বিপ্লবের পর পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়ে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতারা আবার ষড়যন্ত্র করছে । তিনি সাত নভেম্বরের সিপাহী জনতার বিপ্লবের চেতনায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশ ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়ানো আহ্বান জানিয়ে বলেন সাত নভেম্বর ও পাঁচ আগস্টের বিপ্লবের আকাঙ্খা বাস্তবায়নে বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ ।
পরে এমরান সালেহ প্রিন্স এর নেতৃত্বে বিশাল গণমিছিল ধোবাউড়া সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাসস্ট্যান্ডে এসে শেষ হয়। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ঢাক-ঢোল বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে গণমিছিলে যোগ দেন।
মিছিলে অন্যান্যের মধ্যে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আলহাজ্ব মফিজ উদ্দিন, অধ্যাপক আজহারুল ইসলাম কাজল, আনিসুর রহমান মানিক, মোয়াজ্জেম হোসেন খান লিটন,ফরহাদ রাব্বানী সুমন, বিএনপি নেতা আবদুল কুদ্দুছ ,হাবিবুর রহমান , আবুল হাসেম, ওয়াহেদ তালুকদার, চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির, চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম টোটন ,আবদুল মোমেন শাহীন, গাজীউর রহমান, খলিলুর রহমান, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের সহ সভাপতি আবুল কাশেম ডলার, উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক নয়ন মন্ডল, ছাত্র দলের আহ্বায়ক জালাল উদ্দীন ,সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম পলাশ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইমরান হোসাইন , তাঁতী দলের আহ্বায়ক ওসমান গনি ,সদস্য সচিব হাসান শাহ, ওলামা দলের সভাপতি হাবিবুর রহমান ,সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদ উল্লাহ ,মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মানিক, সদস্য সচিব শামীম ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
পরে আজ বিকেলে হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের গণসমাবেশে যোগ দিয়ে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, সুপরিকল্পিত ভাবে জাতীয় ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্র চলছে ।একই সাথে বিরাজনীতিকরণের প্রচেষ্টাও চলছে। তিনি সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ছাত্র গণ বিপ্লবের চেতনা বাস্তবায়ন করতে জাতীয় ঐক্য বজায় রাখতে হবে ।আসলাম মিয়া বাবুল এর সভাপতিত্বে ও আবু হাসনাত বদরুল কবির এর সঞ্চালনায় হালুয়াঘাট মহিলা মার্কেট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন ।