You must need to login..!
Description
এনায়েতুর রহমান,বিএমটিভি নিউজঃ
ময়ৃনসিংহে ভূল চিকিৎসায় আঁখি আক্তার নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর চরপাড়া মোড়ের আলকেমি হাসপাতাল (প্রাঃ) লিমিটেডে এ ঘটনা ঘটে। তবে নবজাতক মেয়ে সন্তান সুস্থ্য আছে বলে পরিবারের সদস্যরা জানান।
নবজাতকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃত আঁখি আক্তার সদর উপজেলার চর সিরতা গ্রামের ফারুক হোসেনের স্ত্রী। ঘটনার পরপরই মরদেহ ফেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়। কোন শুরাহ না পেয়ে বিকেলে মরদেহ নিয়ে বাড়ীতে চলে যায় স্বজনেরা। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
প্রসূতির প্রসব ব্যাথা নিয়ে আঁখি আক্তারকে সিজার অপারেনশন করার জন্য বুধবার দুপুরে নগরীর চরপাড়ার আলকেমি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যান পর তার অপারেশন সম্পন্ন হয়। অপারেশন করেন চিসিৎসক ডা.পিংকি দাস। অপারেশনের পর সারারাত সে সুস্থ ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে ৮টার দিকে কর্তব্যরত নার্স তাকে ইনজেকশন পুশ করলে শরীরে ঝাঁকুনি দিয়ে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর পরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পালিয়ে যায়। দুপুর ১২ টার দিকে ওই হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় তিন তলায় আঁখি আক্তারের মরদেহ নিয়ে তার স্বজনরা কান্নাকাটি করছেন। আর দুতলা ও নিচতলায় মানুষের জটলা দেখা যায়। এ সময় হাসপাতালের প্রতিটি কক্ষে তালা লাগানো অবস্থায় ছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি।
আঁখি আক্তারের স্বামী ফারুক বলেন,আমার স্ত্রীকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভূল চিকিৎসায় হত্যা করেছে। তবে এ সময় তার মুখে বারবার বলতে শুনা যায় তারা (হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ) তাদের সঙ্গে কেন দেখা করছেন না। এর পর দিনভর দেনদরবার শেষে বিকেলে মরদেহ নিয়ে যায় আঁখি আক্তারের স্বজনরা। এ ধরণের খবরের সত্যতা পাওয়া যায় বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে। এদিকে আঁখি আক্তারের আগে তিনবছরের হাম্মাদ নামে একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
আঁখির মা খুরশিদ বেগম ও তার বড় ভাই বলেন, সিজার অপারেশনের পর তার মেয়ে সুস্থ ছিল। সারারাত তাদের সাথে কথা বলেছে। এমনকি (বৃহস্পতিবা) সকালেও তাদের সঙ্গে কথা বলেছে সে। নবজাতক শিশু কন্যাকে বুকের দুধ খাইয়েছে। এর পর নার্সের একটি ইনজেকশনে দিয়ে তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হাসপাতালের পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে থানা পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন রয়েছে। তারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছেন। এর বাইরে তিনি আর কিছু বলতে রাজি হননি।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি সফিকুল ইসলাম খান বলেন, আলকেমি হাসপাতালের এক নারীর মরদেহ নিয়ে উত্তেজনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে মৃত নারীর পক্ষে থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতে রাজি না হওয়ায়, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই । তবে খবর নিয়ে দেখবেন বলে তিনি জানান।