You must need to login..!
Description
বিএমটিভি নিউজ ডেস্কঃ ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার বাকতা ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামে অটো রাইস মিলের ছাঁইয়ের আগুনে দগ্ধ ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন (১১) ৬ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মারা গেছে।
রবিবার (২১ মার্চ) ভোর ৬ টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধানীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিশুটি মামা জামাল উদ্দিন। তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার ভাগিনার লাশ নিয়ে বাড়ীতে আসতেছি। ফুলবাড়ীয়া থানার ওসি আজিজুর রহমান দগ্ধ শিশুটি মরে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত সোমবার বিকেলে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে সড়কের পাশে সরকার অটো রাইস মিলের ফেলে রাখা পরিত্যক্ত ছাইয়ে খেলতে গেলে আগুনে শরীরের প্রায়৫০শতাংশ পুড়ে যায় আরাফাতের। আগুনে দগ্ধ শিশু আরাফাত হোসেন পার্শ্ববর্তী কৈয়ারচালা গ্রামের সিএনজি চালক আয়নাল হকের ছেলে বলে জানা যায়।
ঘটনার দিন গুরুতর আহত অবস্থায় শিশুটিকে প্রথমে ফুলবাড়ীয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেনেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরাফাতের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মচিমহা হাসপাতাল রেফার্ড করে সেখান থেকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউটে দগ্ধ শিশুকে ভর্তি করা হয়। রবিবার (২১ মার্চ) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সুরুজ বাঙ্গালী বলেন, নিয়ত আলী, মোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, মফিজ উদ্দিন অভিযোগ করেন, ফুলবাড়ীয়া উপজেলার বাকতা ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামে সরকার অটো রাইস মিল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে দায়সারাভাবে ফেলে রাখা ছাইয়ের আগুনে দগ্ধ হয়ে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন (১১) হাসপাতালে ৬ দিন কাতরালেও কেউ তার খোজ নেয়নি।
তারা আরো অভিযোগ করেন,মিলটির বিরুদ্ধে পরিবেশ বিনষ্ট করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের।মিল মালিক কর্তৃপক্ষ দায়সারাভাবে মিলে জমে থাকা আগুনসহ ছাঁই ট্রাকে করে সড়কের পাশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে ফেলে রাখে রাতের আধারে ।
এ পর্যন্ত ৫-৬ জন শিশু দগ্ধ হয়েছে। শ্রীপুর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন মাস্টারের ছেলে ফাহমিদুল ইসলাম (১০) সড়কের পাশে অটো রাইস মিলের ফেলে রাখা ছাইয়ে খেলতে গিয়ে পা পুড়ে যায় কিন্তু মিল কর্তৃপক্ষ তাদের কথা শোনে না।