বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে সকল নাগরিকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ সরবরাহ করবে-প্রিন্স

image

You must need to login..!

Description

স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, পতিত ফ্যসিস্ট আওয়ামী লীগ চিকিৎসা সেবাকে ব্যাবসায় পরিণত করেছিল। ফ্যাসিবাদ মুক্ত গণতান্ত্রিক ও মানবিক রাষ্ট্রে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে ৩১ দফার আলোকে স্বাস্থ্যকে সম্পদ বিবেচনা করা হবে। ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য ও বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু নয়’ নীতির আলোকে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা চালু ও স্বাস্থ্য কার্ড চালু করা হবে। চিকিৎসাকে সহজলভ্য এবং সকল নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ সরবরাহ করা হবে । ঔষধের মূল্য যুক্তিসংগত হারে হ্রাস করা হবে। তিনি আজ দুপুরে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের ধারা বাজারে ‘ইসলামিক মডেল হাসপাতাল’ উদ্বোধনকালে সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ।

হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. আবদুস সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, হালুয়াঘাট উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোয়াজ্জেম হোসেন মাস্টার, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আসলাম মিয়া বাবুল, হানিফ মোহাম্মদ শাকের উল্লাহ, আরফান আলী , আলী আশরাফ, বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম , রফিকুল ইসলাম কেরানী, সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান, আনোয়ার হোসেন । অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান , সাবেক চেয়ারম্যান মোনায়েম হোসেন খান খোকন, অধ্যাপক মোফাজ্জল হোসেন , উপজেলা ছাত্র দলের আহ্বায়ক নাইমুর আরেফীন পাপন, পৌর ছাত্র দলের আহ্বায়ক নুরে আলম জনি , সদস্য সচিব তাজবীর হোসেন অন্তর , আবদুল মোতালেব , আলতাফ হোসেন , মোতালেব হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।

অনুষ্ঠানে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে সরকার গঠন করে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রবর্তন করে সবার জন্য । জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির ৫% অর্থ বরাদ্দ করা হবে।পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্য বীমা চালু করা হবে।গরীব মানুষের জন্য ৫০ ধরনের প্রয়োজনীয় ঔষধ বিনামূল্যে দেয়া হবে। একটি কার্যকর রেফারেল সিষ্টেম গড়ে তোলা হবে।

তিনি বলেন, বিএনপি সরকার জেলা-উপজেলা পর্যায়ে উন্নত হাসপাতাল নির্মাণের জন্য ব্যক্তি উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান করে বেসরকারী হাসপাতাল নির্মাণে উৎসাহ প্রদান করবে।

তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে কমপক্ষে আড়াই লক্ষ নতুন ডাক্তার এবং আনুপাতিক হারে নার্স ও টেকনিশিয়ানের প্রয়োজন হবে। এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য বাস্তব ও মানসম্মত ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন হেল্থ সেন্টারে ল্যাব সুবিধাসহ অন্ততঃ দুইজন ডাক্তারের অবস্থান নিশ্চিত করে এ সেন্টারগুলোতে সার্বক্ষণিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হবে। প্রত্যেক ডাক্তারকে কমপক্ষে দুইবছর আবশ্যিকভাবে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সেবা দিতে হবে। এই ডাক্তারদের মাধ্যমে কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিকগুলোকে আরও শক্তিশালী করা হবে।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সরকারী ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোর সেবার মান নিশ্চিত করার জন্য স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞসহ সমাজের সর্বস্তরের বিশিষ্ট নাগরিক সমন্বয়ে মনিটরিং ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
অনুষ্ঠান শেষে তিনি ফিতা কেটে হাসপাতাল উদ্বোধন করেন এবং পরিদর্শন করেন।##

মতিউল আলম