ময়মনসিংহে ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদঘাটন:আসামি গ্রেফতারঃ প্রেমের ফাঁদে পড়ে খুন হয় কলেজছাত্রী মারুফা

image

You must need to login..!

Description

স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ
অবশেষে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে ক্লুলেস হত্যার এক জটিল মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে র‍্যাব-১৪ এর একটি বিশেষ দল। হত্যার শিকার মারুফা নেত্রকোনা সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী ছিল। কথিত প্রেমিক গোলাম মেহেদীর প্রেমের ফাঁদে পড়ে খুন হয় মারুফা। রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে র‍্যাব-১৪এর দলটি ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানা এলাকা থেকে মামলার একমাত্র আসামি মেহেদী হাসান সিনু ওরফে গোলাম মেহেদীকে (৩২) গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর তার ভাড়া বাসায় তল্লাশি চালিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের পোশাক, র‍্যাংক ব্যাচ, বুট, রেইনকোট, নেমপ্লেটসহ মোট ১৭টি সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে মেহেদী হাসান স্বীকার করে যে, নিহত মারুফা (২৯) নেত্রকোনা সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী ছিলেন। নেত্রকোনা সরকারি কলেজে পড়াশোনা করার সময় মেহেদীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেহেদী বিবাহিত হলেও মারুফার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যান।

এদিকে গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর মারুফা তার পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে মেহেদীর ময়মনসিংহের ভাড়া বাসায় চলে আসেন এবং মেহেদীকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। পরে গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে মারুফাকে গৌরীপুরের ফতেপুর গ্রামের একটি বাগানে নিয়ে গিয়ে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন।

গৌরীপুরের রামগোপালপুর ইউনিয়নের ফতেপুর সাকিনের জনৈক আব্দুল খালেক এর আম ও পেপে বাগানের মধ্যে একটি অজ্ঞাতনামা মহিলার লাশ পড়ে আছে। উক্ত সংবাদ পাওয়ার পর তিনি তাৎক্ষনিকভাবে গৌরীপুর থানায় সংবাদ দিলে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে গৌরীপুর থানার পুলিশ লাশ উদ্ধার করলেও ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব না হওয়ায় মরদেহ আঞ্জুমানে দাফন করা হয়। অজ্ঞাত পরিচয়ের হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য গৌরীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় গৌরীপুর থানাধীন রামগোপালপুর ইউনিয়নের দফাদার মোঃ নুরুল ইসলাম (৫০) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১২, তারিখঃ ১৬/০৯/২০২৪ ইং, ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০। লাশের সুরতহাল প্রস্তুত করাকালে তার ভ্যানিটি ব্যাগে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা সম্পর্কিতি একটি খন্ডিত কাগজে একটি মোবাইল নাম্বার পাওয়া যায়। গৌরীপুর থানা পুলিশ সেই মোবাইল নাম্বারের সূত্র ধরে পরবর্তীতে ঐ অজ্ঞাতনামা মহিলার পরিচয় সনাক্ত করে। ঘটনার পর র‌্যাব-১৪, সিপিএসসি, ময়মনসিংহ ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা কার্যক্রম গ্রহন করে।পরে দীর্ঘ তদন্তের পর সিপিএসসি টিম মামলার রহস্য উদঘাটন করে এবং মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

র‍্যাব-১৪ এর সিইও অতিরিক্ত ডিআইজি নয়মুল হাসান জানান, অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে র‍্যাবকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে। র‍্যাব সর্বদা মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করবে। এসব ক্রাইমসহ যেকোন ধরণের নাশকতার বিরুদ্ধে র‍্যাব সর্বদা প্রস্তুত আছে। ক্লুলেস হত্যার একমাত্র আসামিকে কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।##

মতিউল আলম