নান্দাইলে ঘুষের টাকায় ভূয়া নিয়োগপত্র !

image

You must need to login..!

Description

মোঃ রফিকুল ইসলাম খোকন, নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের নান্দাইলে চাকরির জন্য ধার-দেনা করে আড়াই লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে হাতে পেয়েছেন গ্রাম পুলিশে নিয়োগের ভূয়া নিয়োগ পত্র। নিয়োগ পত্রটি যাছাই-বাছাই করে ভূয়া প্রমাণিত হওয়ায় মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো চাকুরি প্রত্যাশী যুবক আরিফুলের পরিবারের। এদিকে ভূয়া নিয়োগপত্র হাতে ধরিয়ে কাজে যোগদানের কথা বলে আড়াই লাখ টাকা নিয়ে উধাও পতিত আওয়ামী লীগের কর্মী প্রতারক শাহ আলম। প্রতারণার শিকার যুবক আরিফুল ইসলাম উপজেলার ৪নং চন্ডিপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাশহাটি গ্রামের দিনমজুর শহিদ উল্লাহ ও নাজমা আক্তার দম্পতির পুত্র। আরিফুল ইসলাম ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে।
আরিফুলের মা নাজমা আক্তারের সাথে পরিচয় ছিল জলসিঁড়ি পৌর বাসষ্ট্যান্ডের কাছে বসবাসকারী আওয়ামী লীগ কর্মী শাহ-আলমের। শাহ-আলম নিজেকে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্যের কাছের মানুষ হিসাবে পরিচয় দিত। নাজমাকে বোন বানিয়ে আরিফুলকে চন্ডীপাশা ইউপির মহল্লাদার পদে চাকরী পাইয়ে দেবার কথা বলে ৩ লাখ টাকা চায় শাহ আলম। এমপির কাছের লোক হওয়ায় আড়াইলাখ টাকা দিতে রাজি হয়ে যায় নাজমা। পর্যায়ক্রমে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেয়া হয় শাহ্ আলমকে । টাকা নেবার পর শাহ আলম গত বছরের ৬ মার্চ মহল্লাদার পদে যোগদানের জন্য একটি নিয়োগ পত্র দেন। নিয়োগ পত্রের নীচে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক হিসাবে স্বাক্ষর রয়েছে মোস্তাফিজুর রহমানের । স্থানীয় সরকার শৃঙ্খলা ও চাকরির শর্তাবলী সর্ম্পকিত বিধিমালা ২০১৫ মোতাবেক ৪নং চন্ডীপাশা ইউনিয়ন পরিষদের মহল্লাদার পদে তাকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। তবে আরিফুল চাকরীর জন্য টাকা দিলেও কোন আবেদন করেননি বা সাক্ষাতকারও দেননি।
গত বছরের ১০ মে তাকে যাবতীয় কাগজপত্রসহ স্বশরীরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয় আরিফুল হককে। পরবর্তীতে সেখানে গেলে নিয়োগপত্র ভূয়া বলে প্রমানিত হয়। রোববার দুপুরে আরিফুলের বাড়িতে গেলে তার মা নাজমা আক্তার বলেন, শাহ আলম চাকরি দেবার কথা বলে আড়াই লাখ টাকা নেয়। আমি ধার দেনা করে ও সুদে টাকা এনে টাকা দিয়েছি। সে টাকার সুদের কিস্তি এখনও দিতে হচ্ছে। মোবাইল করলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সারমিনা সাত্তার বলেন, নিয়োগে জেলা প্রশাসকের যে স্বাক্ষর রয়েছে, তখন তিনি ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন না। তাই মনে হয় যে, ওই যুবক প্রতারণার শিকার। তবে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দিলে অভিযুক্ত প্রতারকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ###