গফরগাঁও,সংবাদদাতা বিএমটিভি নিউজ : ১৭ এপ্রিল মুজিব নগর দিবস। এদিন গফরগাঁও বাজারে পাক হানাদার বাহিনীর বোমা হামলায় ১৯ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান।
১৯৭১সালের ১৭এপ্রিল সকালে গফরগাঁও বাজারে স্বাধীন বাংলার মানচিত্র খচিত পতাকা উড়তে দেখে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর জঙ্গি বিমান গফরগাঁও বাজারের কাইয়ুম মার্কেট বাজারে বোমা ও নির্র্বিচারে মেশিনগানের গুলি বর্র্ষণ করে অসংখ্য নিরীহ মানুষকে হত্যা করে। তাদের মধ্যে ১৯জনকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছিল। হামলায় নিহতরা হলেন গফরগাঁও বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল বেপারী,পুখুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা সেনা সদস্য মীর শামছুদ্দিন, রাঘাইচটি গ্রামের আব্দুুল মতিন, শিলাসী গ্রামের আব্দুল মজিদ, ছোবেদ আলী, আব্দুল হাই, ইছর আলী, আব্দুল গফুর, কলা মিয়া, ঘাগড়া গ্রামের মীর জিয়াউল হক, ষোলহাসিয়া গ্রামের যমুুনার মা, তেতুলিয়া গ্রামের আব্দুল জলিল, ভুলু মিয়া,চংবিড়ই গ্রামের আব্দুল হেলিম,আঠারবাড়ি গ্রামের মংলার বাপ,খারুয়া মুকুন্দ গ্রামের আব্দুল হাই, জন্মেজয় গ্রামের গফুর আলী এবং শ্রীপুর থানার জয়নাল ও ঢাকার গোপেন চন্দ্র্র দেবনাথ প্রমুখ।
এই গণহত্যার অন্যতম শহীদ বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল বেপারী। স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ সাংসদ আবুল হাশেম সেইদিনের ঘটনায় বীরত্বপুর্ণ আত্মত্যাগের জন্য বাজারের প্রধান সড়কে শহীদ আব্দুল বেপারীরর নামে একটি তোরণ নির্মান করেন। পরে তৎকালীন সরকারের শিল্প মন্ত্রী সৈয়দ নজরুল ইসলাম এটির উদ্বোধন করেন।
শহীদ আবদুল বেপারীর সন্তান আজিজুল হক বলেন, তোরণটি মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জল ইতিহাসের অংশ ও গফরগাঁওবাসীর বিজয়ের স্মারক। সম্প্রতি রাস্তা প্রশস্তকরনের কারনে এটি ভেঙ্গে পড়ে। এই তোরণটি পুন:নির্মানের জন্য ময়মনসিংহ জেলা পরিষদকে মাননীয় সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল ডিও লেটার প্রদান করেন।পরিতাপের বিষয় আজো তোরণটি পুন:নির্মাণের কাজ শুরু হয়নি। আমরা শহীদ পরিবারের পক্ষে শহীদ আব্দুল বেপারীর নামে তোরণটির পুন:নির্মানের দাবি জানাচ্ছি।