নান্দাইলে নির্মাণে পরপরই ভেঙে গেছে সেতুর সংযোগ সড়ক

BMTV Desk No Comments

মোঃ রফিকুল ইসলাম খোকন নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ

ময়মনসিংহের নান্দাইলে নির্মাণের  ৪ মাসেই মধ্যে দাসপাড়া সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে গেছে। বর্ষার পর মেরামতের কথা  ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় সাত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতু কোনো আসছে না বলে দাবি করেছে স্থানীয়দের। সেতুটির সংযোগ সড়ক কাঁচা রাস্তায় থাকায় সেতু ব্যবহারে দুর্ভোগে পড়তে হয় স্থানীয়দের। এদিকে সেতুর উভয় পাশের কিছু অংশ সংযোগ সড়ক করা হলেও তা বৃষ্টির পানিতেই ভেঙে যাচ্ছে। এতে সেতুটিই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সেতুর পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন জানায়, নান্দাইল-তাড়াইল পাকা সড়কের দরিল্লা গ্রাম থেকে একটি কাঁচা রাস্তা রাজগাতী ইউপির দাসপাড়া গ্রামের ভেতর দিয়ে দাসপাড়া মোড়ে আমলীতলা-কালীগঞ্জ বাজার পাকা সড়কের সাথে মিলেছে। সাড়ে তিন কিঃমিঃ দৈর্ঘ্যের উঁচু-নিচু দরিল্লা-দাসপাড়া সরু মাটির রাস্তাটির মাঝখানে রয়েছে সুখাইজুড়ি নদী। প্রায় দুই বছর আগে এ নদীর ওপর স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ করে, যা দাসপাড়া সেতু নামে পরিচিত। কিন্তু ব্যবহারে অনুপযোগী কাঁচা রাস্তা পার হয়ে ওই সেতুটি পর্যন্ত হেঁটেও যাওয়া যাচ্ছে না। সেতু নির্মিত হলেও এ অঞ্চলের চারটি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি।২৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে ওই এলাকায় গেলে দেখা যায় উভয় পাশের পুরো সড়কই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় পুরো সড়কে বড় বড় গর্তে পানি জমেছে। সেতু পর্যন্ত গিয়ে দেখা যায় ৯৬ মিটার সেতুটির দুই পাশে ২০০ মিটার করে সংযোগ সড়ক দেওয়া হলেও নিম্নমানের কাজের কারণে সেতুর সংযোগ স্থানে দেবে গেছে।
সাবেক ইউপি সদস্য আলীম উদ্দিন জানান, চোখের সামনে এত টাকার কাজে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার কারণে সব জায়গাতেই দৃশ্যমান ফাটল বা মাটি দেবে গেছে।

স্থানীয় দরিল্লা গ্রামের উসমান গনি মাস্টার (৭০) জানান, আশপাশের ১০টি গ্রামের মানুষ শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো আবার বর্ষায় নৌকা দিয়ে নদীটি পাড় হতো। দুই বছর পূর্বে এখানে সেতু নির্মাণ হলেও এখনো পুরো সড়ক হয়নি। এখন কিছু সামান্য অংশে ইট বিছিয়ে সংযোগ সড়ক করা হবে কিন্তু বাকি সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ।এতে ওই দামি সেতু মানুষের কোনো উপকারে আসছে না।
ইজিবাইক চালক রাজু মিয়া জানান, আগে কাঁচা রাস্তাটি পাকা করে তারপর সেতু তৈরী করা উচিত ছিল।
সেতুটি নির্মাণের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কর্নধার আব্দুল গণি ভেঙে যাওয়া অংশ মেরামত করে দিবেন বলে জানান।
জানতে চাইলে নান্দাইল উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, পরে একবারেই মেরামত করা হবে।’

নিম্ননের কাজের অভিয়োগ সর্ম্পকে তিনি বলেন, দাঁড়িয়ে থেকে কাজ দেখেছি, এমন হওয়ার কথা নয়।
এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি)উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মালেক বিশ্বাস জানান, কাঁচা সড়ক পাকা করার জন্য ইতিমধ্যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেতুর সংযোগস্থল ভেঙে যাবার কথা তিনি জানেন না। তবে খোঁজ নিবেন বলে জানান।###

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *