অলকা নদী বাংলা মার্কেটের মোবাইল চুরির ঘটনায় অবশেষে রহস্য উদঘাটন

অলকা নদী বাংলা মার্কেটের মোবাইল চুরির ঘটনায় অবশেষে রহস্য উদঘাটন

BMTV Desk No Comments

স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ

ময়মনসিংহে অলকা নদী বাংলা মার্কেটের মোবাইল চুরির ঘটনায় অবশেষে রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।শনিবার (১৮ অক্টোবর) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তথ্য জানানো হয়।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, গত ১৮ জুন রাতে শহরের গাঙ্গিনারপাড় ট্রাফিক মোড় সংলগ্ন অলকা নদী বাংলা কমপ্লেক্সের ২য় তলায় একটি মোবাইল দোকানের তালা কেটে ১৪৩টি স্মার্টফোন ও নগদ ৮ লক্ষাধিক টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। চুরি যাওয়া মোবাইলগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৫৫ লাখ টাকা।
ঘটনার পরপরই সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ সুপার, ময়মনসিংহের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের (প্রশাসন ও অপরাধ) দিকনির্দেশনায়, অফিসার ইনচার্জ (ডিবি), ময়মনসিংহের নেতৃত্বে একটি বিশেষ গোয়েন্দা টিম তদন্তে নামে।
চলমান তদন্ত ও ধারাবাহিক অভিযানের ফলস্বরূপ গত ১২ অক্টোবর কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে চক্রের মূলহোতাসহ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে ডিবি।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. বাদশা চৌধুরী (২৬)। তিনি চট্টগ্রামের বাকুলিয়া থানার বাসিন্দা ও বর্তমানে দাউদকান্দির দক্ষিণ পেন্নাই এলাকায় ভাড়াটিয়া। দ্বিতীয়জন হলেন মো. শাহিন (২৫)। তিনি কুমিল্লার লাঙ্গলকোট উপজেলার ঘোড়া ময়দান এলাকার বাসিন্দা ও সবশেষ ব্যক্তির নাম মো. আবুল খায়ের (২৭)। তিনি কুমিল্লার লালমাই উপজেলার পেরুল দীঘির পাড় গ্রামের বাসিন্দা ও বর্তমানে দাউদকান্দি থানায় অবস্থানরত।

গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের নির্দেশে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হলে মূল আসামি বাদশা চৌধুরী জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করে এবং ১৬৪ ধারায় আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

সে জানায়, কীভাবে পরিকল্পিতভাবে এই বড় মাপের চুরির ঘটনা তারা সংঘটিত করেছে এবং কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) আবদুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, চক্রটির অন্যান্য সদস্য ও চুরি হওয়া আলামত উদ্ধারে অভিযান এখনও চলমান রয়েছে। খুব শিগগিরই পুরো চক্রটিকে আইনের আওতায় আনা হবে।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *