স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজ
ময়মনসিংহে ত্রিশালে পেশাগত দায়িত্ব পালন সময় মারধরের শিকার হয়েছেন ৪ সাংবাদিক। এ ঘটনায় মামলার পর বিএনপি নেতাসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।আহতরা হলেন, সমকালের ত্রিশাল প্রতিনিধি মতিউর রহমান সেলিম, এসএম মাসুদ রানা ত্রিশাল প্রতিনিধি সকালের সময়, আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ (কালবেলা) ও রাকিবুল হাসান সুমন (নয়া শতাব্দী)।
এ ঘটনায় শনিবার (২৯ নভেম্বর) রাতে সমকাল প্রতিনিধি মতিউর সেলিম বাদি হয়ে ত্রিশাল থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় বিএনপি নেতা স্বপন মেম্বার ও হাবিবুর রহমান জিয়াসহ আরও ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়।
মামলার পর ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ছাইফুল ইসলাম স্বপন ও তার সহযোগী হাবিবুর রহমান জিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের রবিবার (৩০ নভেম্বর) দুই আসামীকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও সাংবাদিকরা জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বপাড়া এলাকায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে যান তারা। ঘটনাস্থলে পৌছার কিছুক্ষণ পর কিছু বুঝে উঠার আগেই ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ছাইফুল ইসলাম স্বপনের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে তাদের উপর। এসময় হামলাকারীরা গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে থাকা মোবাইল, ক্যামেরা ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। কেড়ে নেয়া হয় মোটরসাইকেলের চাবি।
এরপর স্বপন মেম্বারের নির্দেশে ও নেতৃত্বে হাবিবুর রহমান জিয়াসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ সমকালের সাংবাদিক মতিউর রহমান সেলিম ও সকালের সময় প্রতিনিধি এসএম মাসুদ রানার উপর হামলা করে। এসময় তাদেরকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারধর করে আটকে রাখে। পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হওয়ায় স্থানীয় লোকজন তাদেরকে রক্ষা করে। তাদেরকে উদ্ধার করতে গিয়ে কালবেলার সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল ফাহাদ ও নয়া শতাব্দীর সাংবাদিক রাকিবুল হাসান সুমনও মারধরের শিকার হন।
খবর পেয়ে ত্রিশাল প্রেস ক্লাবের অন্য সহকর্মীরা ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে। পরে আহত মতিউর রহমান সেলিম ও এসএম মাসুদ রানাকে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহমেদ বলেন, সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানে হয়েছে। অপর আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।