You must need to login..!
Description
মতিউল আলম, বিএমটিভি নিউজ,ময়মনসিংহ সদর উপজেলার অষ্টধার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্র সৈকত হাসান আকাশ খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। প্রেমের জের ধরে একই শ্রেণীর আকাশের প্রেমিকা জেসমিনের পরিবারের হাতেই খুন হয় আকাশ । প্রেমিকার বাবা-মা, চাচা, ভাই বোন সহ ৬জনকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করলে ১৬৪ ধারায় খুনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। পুলিশ খুনে ব্যবহৃত ছুরি ও কোদাল উদ্ধার করেছে।
ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, ময়মনসিংহ সদর উপজেলার অষ্টধার বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রী জেসমিন এর সাথে ভিকটিম একই গ্রামের সৈকত হাসান আকাশের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে সকলের অজ্ঞাতসারে তারা বিয়ে করে বলে এলাকায় গুঞ্জন সৃষ্টি হলে মেয়ে পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়। মেয়ের বাবা চাচাসহ ভাইয়েরা গোপন পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক ১৯ মে রাতে কৌশলে মেয়েকে দিয়ে ভিকটিম আকাশকে ডেকে নিয়ে আসে। রাত ১০টায় পরিকল্পিতভাবে আসামীরা রাতের অন্ধকারে উপর্যপুরী কুপিয়ে আকাশকে জবাই পূর্বক হত্যা করে। প্রথমে লাশ বাড়ীর রান্না ঘরের পাশে ময়লার গর্তে ফেলে রাখে। পরের দিন রাতে লাশ ময়লার গর্ত হতে উঠিয়ে বাড়ীর কিছুটা দূরবর্তী স্থানে রাখে।
ভিকটিমের পিতা তার ছেলেকে খোঁজাখুজি করে কোথাও না পেয়ে থানায় নিখোঁজ ডায়রী করে। নিখোঁজ ডায়রীর সূত্র ধরে কোতোয়ালী মডেল থানা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২১ মে সন্ধ্যায় ভিকটিমের মৃত দেহ প্রেমিকার বাড়ীর পাশ থেকে মাটির নীচ থেকে উদ্ধার করে। ইতিমধ্যে প্রেমিকার বাবা, ভাই, চাচা সকলেই বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ সারাশি অভিযান চালিয়ে অতি দ্রুততম সময়ে হত্যাকান্ডে জড়িত ০৬ জন আসামীকে মুক্তাগাছা থেকে ২২মে আটক করে। – আটককৃতরা হচ্ছেন ভুগলী নয়াপাড়া গ্রামের প্রেমিকার বাবা জিয়াউল হক মেম্বার (৫২) চাচা জুলহাস উদ্দিন (৩৫) ভাই নাজমুল হক (২১) প্রেমিকার মা নার্গিস আক্তার (৩২), বোন রোজিনা আক্তার (২৩) ও প্রেমিকা জেসমিন (১৬)। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা হত্যার দায় স্বীকার করে এবং আসামীদের দেখানো মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও কোদাল উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় কোতোয়ালী মডেল থানার মামলা নং-৯৪, তারিখ-২২/০৫/২০২১ ধারা-৩০২/২০১/৩৪ রুজু হয়।
গ্রেফতারকৃত ০৬ জন আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীরা হচ্ছেন মৃত সমসের মন্ডলের পুত্র জিয়াউল হক মেম্বার (৫২) তার ভাই জুলহাস উদ্দিন (৩৫), ছেলে নাজমুল হক (২১)দেরকে ইং ২৩ মে বিজ্ঞ অতিঃ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আঃ হাই ০১ নং আমলী বিচারিক আদালতে সোর্পদ করা হলে, হত্যাকান্ডের বর্ণনা দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। অতি দ্রুততম সময়ে মামলার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তদের দ্রুততম সময়ে শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২/১ কার্য দিবসেই মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।