ময়মনসিংহ সিটির হোল্ডিং ট্যাক্স পুনঃনির্ধারণ ১০দিনের মধ্যেই : মেয়র টিটু

image

You must need to login..!

Description

স্টাফ রিপোর্টার, বিএমটিভি নিউজঃ  নতুন এসেসমেন্টের মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্স আরোপিত করা হলেও নাগরিকদের তা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা হবে এবং আগামী ১০ দিনের মধ্যে হোল্ডিং ট্যাক্স পূনঃনির্ধারণ এবং আপত্তি ফরমের মূল্য হ্রাসের বিষয়ে সক্রিয় বিবেচনা করা হবে ঘোষণা দিয়েছেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের (মসিক) মেয়র ইকরামূল হক টিটু। মেয়র টিটু আরো বলেন যেসব হোল্ডিং মালিকদের রিভিও করার প্রয়োজন শুধু তাদেরই রিভিও করার আহবান জানিয়েছেন।

আরোপিত হোল্ডিং ট্যাক্স ও রিভিও ফরমের দাম কমানোর দাবীতে ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলন ও উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ নেতৃবৃন্দ গতকাল ৭ জুন সোমবার বিকেলে মসিক শাহাবুদ্দিন মিলনায়তনে মসিক মেয়রকে স্মারকলিপি প্রদানকালে মেয়র টিটু এসব কথা বলেন।

মেয়র টিটু আরো বলেন, আমি এ শহরের সন্তান, এই শহরের নাগরিক। এ শহরকে আপনাদের স্বপ্নের নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে যে পবিত্র দায়িত্ব দিয়েছেন তা আমি শতভাগ পালনের চেষ্টা করছি। কিন্তু মহামারী করোনা আমাদের অগ্রযাত্রাকে ধীর করে দিয়েছে। তারপরও করোনায় আপনাদের সুরক্ষা এবং অন্যান্য সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা আমরা করেছি।

স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন জেলা নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অ্যাডভোকেট এ.এইচ.এম খালেকুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নূরুল আমিন কালাম। এ সময় বক্তব্য রাখেন মসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ অনোয়ার হোসেন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সেঁজুতি ধর, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, জেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান-০১ মমতাজ উদ্দিন মন্তা, জেলা সিপিবি সভাপতি অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক মিল্লাত, মহানগর বিএনপি যুগ্ম-আহবায়ক কাজী রানা, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাদিক হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী আজাদ জাহান শামীম, জনউদ্যোগ আহবায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন, সুজন মহানগর শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট শিব্বির আহমেদ লিটন, জেলা বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডাঃ এইচ এ গোলন্দাজ তারা, লায়ন ড. অধ্যক্ষ শাহাব উদ্দিন আহমদ, নাগরিক আন্দোলনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম, চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি শংকর সাহা, সাংবাদিক প্রদীপ ভৌমিক, ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, ময়মমনসিংহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন ও কোষাধ্যক্ষ নিয়ামুল কবির সজল প্রমূখ।

সভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণে সিটি কর্পোরেশন গৃহিত বিধি ও পদ্ধতিসমূহ তুলে ধরেন এবং উপস্থিত নাগরিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এবং রাজনৈতিক-সামাজিক গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ তাদের মতামত উপস্থাপন করেন।

মেয়র ইকরামুল হক আলোচনায় বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায় আমরা পেয়েছি ময়মনসিংহ বিভাগ পরবর্তীতে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন। সিটি এলাকার আয়তন বহুগুন বৃদ্ধি হয়েছে এবং পূর্বে র তুলনায় অধিক জনবল নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। অনেক কর্মকর্তা নগরবাসির সেবা নিশ্চিতে প্রেষণে কাজ করছেন। এতে সিটি কর্পোরেশনের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে।

মেয়র টিটু আরো জানান সিটির উন্নয়নে যেসব উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয় তাতে মোট বরাদ্দের ১০-২০ ভাগ কন্ট্রিবিউশান মানি প্রদান করতে হয় যা সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব থেকে পরিশোধ করতে হয়। আগামীতে বাস-ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুতায়ন, স্যানিটেশন ইত্যাদি প্রকল্পে দেড় শত থেকে তিন শত কোটি টাকা খরচ হবে, যা নাগরিকগণের ট্যাক্স থেকে পরিশোধ করা হবে।

নতুন সংযোজিত ওয়ার্ডসমূহ সম্পর্কে বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে নূন্যতম ৫ কোটি টাকার কাজের কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া পুরো শহরের জলাবদ্ধতা অনেকাংশে নিরসন করা সম্ভব করা হয়েছে। সৌন্দর্যবর্ধণ করা হয়েছে, জয়নুর উদ্যানে বিনোদনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, সড়ক, বাতি ও অন্যন্য অবকাঠামো নির্মাণে গুরুত্বের সাথে কাজ করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সিটি কর্পোরেশনে কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নয়। সিটি কর্পোরেশন একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। আপনাদের দেওয়া ট্যাক্সে সে সেবা প্রদান করে থাকে সিটি কর্পোরেশন। তাই রাজস্বের অভাবে সিটি কর্পোরেশনের সেবা যেন বাধাগ্রস্থ না হয় সেদিকেও নজর রাখতে হবে।

এছাড়া সভায় সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ও অন্যান্য কাউন্সিলরবৃন্দ, জেলা নাগরিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এবং রাজনৈতিক সামাজিক গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।