You must need to login..!
Description
স্টাফ রির্পোটারঃচুলের ছাঁট! তবে বল পায়ে ব্রাজিল তারকাকে দেখা গেল সেই একই ছন্দে, এবার কোপা আমেরিকার শুরু থেকে যে ছন্দে দেখা যাচ্ছে নেইমারকে। গোল করছেন, করাচ্ছেন। মুখটাও থাকছে হাসি হাসি; হলুদ জার্সির সমর্থকেরা তো এ–ই দেখতে চায়!
নেইমার তাদের আজও নিরাশ করেননি। নিজে একটি গোল করার সঙ্গে রিচার্লিসনকে দিয়ে আরও একটি গোল করিয়েছেন। এ ছাড়া ব্রাজিলের বাকি দুই গোলের মূল উৎস ছিল নেইমারের ক্রস ও তাঁর দুর্দান্ত এক মুভ। ব্রাজিলের ৪-০ গোলের জয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কারটা তাই নেইমারের হাতেই উঠেছে। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ব্রাজিলের ৩-০ গোলে জয়েও ‘নিউক্লিয়াস’ ছিলেন পিএসজি তারকাই।
কোপা আমেরিকায় ব্রাজিলের প্রথম দুই ম্যাচ জয়ে নেইমারের মুখটাই তাই চলে আসে সবার আগে। এই নিয়ে ব্রাজিলের শেষ চার ম্যাচে চার গোল করলেন এই ফরোয়ার্ড। আজকের গোলটি দিয়ে ব্রাজিলের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় স্বদেশী তারকা রোনালদোকে (নাজারিও) পেছনে ফেললেন নেইমার। আন্তর্জাতিক ফুটবলে এখন তাঁর গোলসংখ্যা ৬৮। ম্যাচ শেষে চোখের জল মুছে নেইমার বলেন, ‘ব্রাজিল দলের ইতিহাসের অংশ হতে পারাটা আমার জন্য দারুণ সম্মানের।’
১০৭ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। আর মাত্র ৯ গোল করলে তিনি ছুঁয়ে ফেলবেন ব্রাজিলের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতা পেলেকে। আবেগাক্রান্ত নেইমার জানালেন, এসব রেকর্ড নয়, ব্রাজিলের হয়ে খেলতে পেরেই তিনি খুশি, ‘সত্যি বলতে ব্রাজিলের হয়ে খেলাটাই ছিল আমার স্বপ্ন। সব সময় এই জার্সি পরতে চেয়েছি। কখনো ভাবিনি এখানে (গোল তালিকা) উঠে আসতে পারব।
ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের গোল তালিকা নিয়ে বিতর্ক আছে। পরিসংখ্যানবিদদের কেউ কেউ শুধু তাদের প্রতিযোগিতামূলক গোল হিসাব করেছেন, কেউ আবার প্রীতি ম্যাচের গোলও যোগ করেছেন। এমনকি ব্রাজিলের ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) পর্যন্ত এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। পেরুর বিপক্ষে ম্যাচ শেষে তারা জানিয়েছে, রোনালদোর প্রীতি ম্যাচ যোগ করে যে গোলসংখ্যা, সেটিও টপকে গেছেন নেইমার। ফিফা টুইটে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় নেইমার এখন ২০তম। কিন্তু তারা গোলসংখ্যা কিংবা কারা তাঁর ওপরে, সেই তালিকাটা অবশ্য প্রকাশ করেনি।
তিনবার বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি পেলের গোলের রেকর্ড নেইমার টপকে যাবেন বলেই সবার ধারণা। ব্রাজিল তারকাকে শীর্ষে দেখার আশা জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে পেলে লেখেন, ‘আজ (বাংলাদেশ সময় ভোরে) সে আমার গোলের রেকর্ড ছোঁয়ার পথে আরও একধাপ এগিয়ে গেল। তাকে সেখানে দেখার প্রত্যাশায় আছি, সেই একই আনন্দ নিয়ে যখন তাকে প্রথম খেলতে দেখি।’
নেইমারকে নিয়ে বিতর্কও কম হয় না। ২০১৯ সালে তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। পরে এ অভিযোগ খারিজ করে দেন আদালত। গত মাসে নাইকি তাঁর সঙ্গে স্পনসর চুক্তি বাতিল করে তাদের এক কর্মীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগে। নেইমার জানালেন, এসব কঠিন সময় পার করে তিনি আনন্দ পান শুধু দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার মধ্য দিয়ে, ‘গত দুই বছরে অনেক কিছুর মধ্য দিয়ে গেছি। কঠিন সময় পার করেছি। কিন্তু এসব (গোল) সংখ্যা দেশে ও পরিবারের প্রতিনিধিত্ব করার আনন্দের তুলনায় কিছুই নয়।’