You must need to login..!
Description
বিএম টিভি নিউজ ডেস্ক
জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতি এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে। যমুনা নদীর পানি হ্রাস পেলেও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি আবারও কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ২৯ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়ে বিপদসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফেরীঘাট পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদীর পানি হ্রাস পেলেও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতি এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে। বন্যায় এখন পর্যন্ত জেলার দশ লক্ষ মানুষ পানি বন্দি হয়ে আছে।
জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কর্মকর্তা নায়েব আলী বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে এ পর্যন্ত জন্য নগদ ২৪ লাখ টাকা, ৭১০ মেট্রিক টন চাউল, ২ লাখ টাকার শিশু খাদ্য, ১১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১২ লাখ টাকার গো-খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
ইসলামপুর উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের তাড়তাপাড়া,কড়ইতার,রামভদ্রা,রাজনগর এলাকা তরিয়ে যাওয়ায় ওই সকল এলাকার লোকজন তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পার্শ্ববর্তী উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ি ইউনিয়নের চর মাগুরিহাট, খোলাবাড়ি, বরখাল, ভেলামারী এলাকার লোকজন বন্যার পানিতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এছাড়াও মেলান্দহ উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের তেঘুরিয়া, বালুআটা, বাঘাডোবা, থারী, নাওঘাটা একই উপজেলার ফুলকোঁচা ইউনিয়নের পাহাড়িপটল, কোন মালঞ্চ এলাকার মানুষরাও বন্যার পানিতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। অপরদিকে সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের নলসন্ধ্যা, ডাকাতিয়া মেন্দাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ বন্যার পানিতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। সুত্র দৈনিক সবুজ