You must need to login..!
Description
শফিকুল ইসলাম,বিএমটিভি নিউজঃ লকডাউনে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সহস্ত্রাধিক মানুষকে ১০ টাকায় দু,দিনের খাবার পৌছে দিয়েছে। একই সাথে রাতে নগরী ঘুরে ঘুরে ছিন্নমূল ও ভাসমান মানুষদেরকে রান্না করা পেকেটজাত খাবার দিয়েছে পুনাক। সবার রান্না ঘরে ভাতের গন্ধ ছুটুক” এ প্রতিপাদ্য নিয়ে দুঃস্থ/কর্মহীনদের জন্য স্বল্প¬ মুল্যের দোকান ১০ টাকায় দু’দিনের আহার বিক্রি কার্যক্রম লকডাউনকালে শুরু করেন মানবিক পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামান। নগরীর বিভিন্ন বস্তি, শ্রেণীপেশা, বেকার, কর্মহীন, দুঃস্থ, প্রতিবন্ধি, নরসুন্দর (নাপিত), বেদে ও অসহায়দের তালিকা করে প্রতিদিন নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এই আহার (খাবার) বিক্রি করে জেলা পুলিশ। জেলা পুলিশের আভ্যন্তরীণ সেচ্চা অনুদানের অর্থায়নে এই খাবার সংগ্রহ করে নামমাত্র মুল্যে (প্রতীকি মুল্যে) বিক্রি করা হয়। বুধবার নগরীর নগরীর মুকুল নিকেতন স্কুলে জেলা পুলিশ দেড় শতাধিক বস্তিবাসির কাছে দুদিনের আহার বিক্রি করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুল ইসলাম বুধবার খাবার বিক্রিকালে বলেন, লকডাউনে মানবিক কারণে অসহায়, হোটেল শ্রমিক, হকার, ছিন্নমূল, বস্তিবাসি ও কর্মহীন মানুষদের পাশে রয়েছে জেলা পুলিশ। আমরা যতটুকু পারছি সহযোগীতা করছি। সবার ঘরে রান্না ভাতের গন্ধ ছুটুক এ প্রতিপাদ্য নিয়ে ১০ টাকায় দুদিনের আহার বিক্রি করে আসছে। লকডাউনকালে গত ৮ দিনে সহাস্ত্রাধিক অসহায় মানুষের কাছে ১০ টাকায় আহার বিক্রি করা হয়েছে। এই সময়ে প্রতিবন্ধিসহ অনেকের মাঝে মানবিক কারণে বিনা পয়সায় খাবার পৌছে দেয়া হয়েছে।
বিতরনকৃত খাদ্যপন্যের মধ্যে ছিল, ৫ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, আধা লিটার সয়াবিন তেল, আধা কেজি লবন, দুই কেজি আলু, পরিমানমত মশলা, পেয়াজ, রসুন ও কাচা মরিচ। এ সময় ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ, পুলিশ পরিদর্শক মাহবুবুব রহমান, এসআই আনোয়ার হোসেন, দেবাশীস সাহা সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) উদ্যোগে পুনাক সভানেত্রী কানিজ আহমার ছিন্নমূল ও ভাসমান মানুষের মাঝে গভীর রাতে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে রান্না করা পেকেটজাত খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
১০ টাকায় দুদিনের আহার বিক্রি সম্পর্কে পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নকালে রাস্তায় ঘুরে দেখে জানতে পেয়েছি হোটেল রেস্তোরাসহ বিভিন্ন ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় নতুন করে বেকারত্বের সংখ্যা বেড়েছে। কর্মহীন অসংখ্য মানুষের পাশে মানবিক কারণে নিজস্ব অর্থায়নে সহযোগীতার লক্ষে ১০ টাকায় দুদিনের আহার বিক্রি কার্যক্রম শুরু করি। যা দিয়ে একটি ছোট পরিবারের ৩/৪ দিন চলবে।