এডিস মশার বিস্তার রোধ ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে মসিকের ১২ দিনব্যাপী বিশেষ কর্মসূচি

image

You must need to login..!

Description

শফিকুল ইসলাম, বিএমটিভি নিউজঃএডিস মশার বিস্তার রোধ ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে থেকে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ৩৩ টি ওয়ার্ডে ২৬জুলাই (সোমবার) থেকে ১২ দিনব্যাপী বিশেষ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় সিটির ১৪০ টি হটস্পটকে প্রাধান্য দিয়ে এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত লার্ভিসাইড এবং উড়ন্ত ও পরিনত মশা ধ্বংসে বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এডাল্টিসাইড প্রয়োগ করা হচ্ছে। এছাড়া একইসাথে কোন প্রতিষ্ঠানে, নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে তা ভ্রাম্যমান আদালতের আওতায় আনা হচ্ছে।

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহমেদ পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত ২৬জুলাই (সোমবার) বেলা ১১ টায় কাঁচিঝুলি মোড় এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করে।

সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্যবিভাগ দ্বারা বাস্তবায়নাধীন এডিস মশার নিধন কর্মসূচিকে আরো কার্যকর ও দক্ষ করার স্বার্থে ইতোমধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে সিটি কর্পোরেশনের একাধিক কর্মকর্তা কর্মচারিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু এডিস মশার বিস্তার রোধে গৃহিত কর্মসূচি সম্পর্কে জানান, করোনা মহামারীর কারনে আমরা খুব কঠিন সময় পার করছি। করোনার সাথে ডেঙ্গু যুক্ত হলে তা আরো বিপদজনক হবে। আমরা এডিস মশার বিস্তার রোধে নানাবিধ কার্যকর পদ্ধতি গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে একাধিক ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালিত হয়েছে। ২৬জুলাই (সোমবার) থেকে শুরু হওয়া কর্মসূচি প্রতিটি ওয়ার্ডকে গুরুত্ব দিয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনামাফিক পরিচালিত হবে। আশা করি, গত বছরগুলোর মতই সিটি কর্পোরেশনের মশক নিধন কার্যক্রমে ময়মনসিংহ এবারও থাকবে ডেঙ্গুমুক্ত।

মেযর আরো বলেন, ডেঙ্গু মোকাবেলায় জনসচেতনতার কোন বিকল্প নেই। টায়ার,পরিত্যাক্ত পাত্র, নির্মাণাধীন ভবন বা এসির নিচে জমা পানিতে যেন এডিস মশার বংশবৃদ্ধি না ঘটতে পারে সেবিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।প্রতিদিনই জমানো পানি ফেলে দিতে হবে। সকল নাগরিককে এবিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

সোমবার এডিস মশা রোধ কর্মসূচি পরিদর্শন করেন সিটি কর্পোরেশনে সচিব রাজীব সরকার, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এইচকে দেবনাথ, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আসীম সাহা, খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক মজুমদার, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরবৃন্দ প্রমুখ।